এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : টাইটানিক যেন এক রূপকথার নাম। ‘টাইটান’ ছিল গ্রীক পুরানের সৃষ্টির শক্তিশালী দেবতা। এই দেবতার কাজই ছিল শুধু সৃষ্টি করা। তার নামানুসারে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছিল ‘টাইটানিক’। এটি আসলে জাহাজটির সংক্ষিপ্ত নাম। এর পুরো নাম ছিল ‘আর এম এস টাইটানিক’। ‘আর এম এস’ এর অর্থ হচ্ছে ‘রয়্যাল মেল স্টিমার’। অর্থাৎ পুরো জাহাজটির নাম ছিল ‘রয়্যাল মেল স্টিমার টাইটানিক’। তবে এই জাহাজটিকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের পর থেকে সবার মনে বিষয়টি জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১৫ এপ্রিল, ১৯১২। ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ, টাইটানিক। তবে এর অনেক ঘটনাই সবার জানা রয়েছে। এ সবের বাইরে এমন অনেক ছোটখাটো তথ্য আছে, যেগুলি শুনলে হয়তোবা আপনাকে অবাক হতে হয়। টাইটানিক সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
১. যে দিন হিমশৈলে টাইটানিক ধাক্কা খেয়েছিল, সেই দিনই লাইফবোটের একটি মহড়া ছিল টাইটানিকে। ক্যাপ্টেন সেটি বাতিল করেন।
২. সিনেমায় মনে আছে, কিভাবে মিউজিশিয়ানরা ক্রমাগত বেহালা বাজিয়ে গিয়েছিলেন জাহাজ ডোবার সময়ে? বাস্তবেও তেমনটাই ঘটেছিল।
৩. হারশে চকোলেট সংস্থার মালিক, তৎকালীন ব্রিটিশ ধনীদের অন্যতম, মিল্টন হারশের কাছে টাইটানিকের টিকিট ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য তিনি তা বাতিল করেন।
৪. এক জাপানি যাত্রী প্রাণে বেঁচেছিলেন। কোনোক্রমে তীরে পৌঁছনোর পরে তিনি যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে যান। সহযাত্রীদের কথা ভাবেননি বলে তার নামে অভিযোগ।
৫. যে চারটি স্মোকস্ট্যাক (ধোঁয়া বেরনোর বিশাল চিমনি) ছিল জাহাজটির, তার তিনটি কাজ করত। একটি ছিল স্রেফ জাহাজ সাজানোর জন্য।
৬. সংবাদপত্রে প্রথম দিন খবর প্রকাশিত হয়েছিল, ‘টাইটানিক ডুবেছে। তবে কেউ মারা যাননি।’
৭. দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরে নিউ ইয়র্ক টাইমস ৭৫ পাতা জুড়ে শুধু টাইটানিকেরই খবর ছাপা হয়েছিল।
৮. ‘ক্যালিফোর্নিয়ান’ নামে একটি জাহাজ টাইটানিকের খুব কাছেই ছিল। কিন্তু তার ওয়্যারলেস অপারেটর ছিলেন গভীর ঘুমে। টাইটানিক থেকে আকাশে ছোড়া সেই বিপদসংকেত তিনি দেখতেই পাননি।
৯. টাইটানিকের ‘চিফ বেকার’, অর্থাৎ বেকারির দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনি দু’ঘণ্টা ওই ঠান্ডা জলে থাকার পরেও বেঁচে গিয়েছিলেন!
১০. টাইটানিক-ই একমাত্র জাহাজ, যা হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবেছে।
১১. বেশিরভাগ লাইফবোটেই জায়গা ফাঁকা ছিল। কিন্তু কোন অজানা কারণে সেগুলিতে লোক নেয়া হয়নি।
১২. হিমশৈলের খবর ক্যাপ্টেনের কাছে যখন এসেছিল, তার মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে এলেই টাইটানিক-কে বাঁচানো যেত।
১৩. ১,৫১৪ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু উদ্ধার করা হয়েছিল মাত্র ৩৩৬টি দেহ।
১৪. যে হিমশৈলে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবেছিল, সেটির গঠন হয়েছিল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ থেকে।
১৫. সবথেকে দামি টিকিটের মূল্য কত ছিল জানেন? সেই সময়ে ৪,৩৫০ মার্কিন ডলার।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই