মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫০:১০

শখের বসে বিমান বানান যিনি

শখের বসে বিমান বানান যিনি

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শখের বসে বিমান বানান কেউ- এমন কথা এর আগে জানা না গেলেও এবার তা-ই জানা গেল।  আক্সেল লাঙে গ্লাইডার বা সেলপ্লেন তৈরি করেন৷ শখের বসে শুরু করা বিমান বিক্রি এখন তার পেশা৷ প্রতিমাসে একটি গ্লাইডার তৈরি করেন তিনি৷

গ্লাইডারটি ক্রেতাদের কাছে দেয়ার আগে শেষবার কারিগরি দিক পরীক্ষা করেন আক্সেল লাঙে নিজেই৷ একেকটি গ্লাইডারের দাম ২ লাখ ৪০ হাজার ইউরো৷

লাঙে এভিয়েশনের সিইও লাঙে বলেন, আমাদের ক্রেতারা সাধারণত প্রচুর ফ্লাই করেন৷ তারা মূলত প্রশিক্ষিত বৈমানিক৷ আমাদের ২৫ শতাংশ ক্রেতাই বাণিজ্যিক বিমান চালান এবং প্রচুর সময় বিমানেই কাটান৷

১৫ বছর বয়স থেকেই প্লেন বিক্রির সঙ্গে যুক্ত লাঙে৷ এখন তিনি  এয়ারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ার এবং নিজেই বিমান তৈরি করেন৷ তিনি বলেন, বিমানের পাখা অনেক বিস্মৃত হলে উড়ালের সময় বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়৷ এটি বিমানকে ভাসিয়ে রাখতে সহায়তা করে৷ ফলে ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র এক হাজার মিটার উচ্চতায় থেকেও অনায়াসে ৫৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়া যায়৷

যেভাবে তৈরি হয়

এসব বিমানের কাঠামো তৈরি হয় কার্বন ফাইবার দিয়ে৷ ২০ জনের একটি দল এই কাজ করে৷ তারা লেয়ারের পর লেয়ার ফাইবার এভাবে গ্লু দিয়ে জোড়া লাগান৷ এজন্য নিবিড়ভাবে হাত দিয়ে কাজ করতে হয়৷ প্রতিমাসে সাধারণত একটি গ্লাইডার বা সেলপ্লেন তৈরি করেন তারা৷

আক্সেল লাঙে এ বিষয়ে বলেন, বিমানের গঠন মূলত বক্রাকার বা বাঁকা হয়৷ আপনি যদি এগুলো রোবট দিয়ে করতে চান তাহলে অত্যন্ত জটিল কম্পিউটার প্রোগ্রামের দরকার হবে৷ তাই এগুলো হাতে তৈরিই বেশি অর্থবহ৷ তাছাড়া হাতের কাজ সস্তাও৷

ওজন গুরুত্বপূর্ণ

অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে গ্লাইডারের ডিজাইন করেন লাঙে৷ যেহেতু বিমানটি শুধুমাত্র বাতাসে ভর করে উড়ে।  তাই এটির ওজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু৷ ফলে সব গ্লাইডার দেখতে পাতলা ও মসৃণ হয়৷

কাজটি জটিল৷ আর লাঙের প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মীই অভিজ্ঞ কারিগর, বিমান নির্মাতা নন৷ একটা পর্যায়ে তারা বিমান তৈরির প্রেমে পড়ে যান। যেমনটা বললেন প্রধান ছুতার মিস্ত্রী মিশায়েল কামলে৷

তিনি বলেন, আমরা একটি চমৎকার যুগে বাস করছি৷ শত বছর আগে এগুলো ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ৷ মানুষ সেসময় তাদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়েছেন৷ কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তেমন সাফল্য পাননি৷ আর এখন আমরা চমৎকার একটি সময়ের সাক্ষী হচ্ছি৷

প্রতিটি বিমান তৈরি শেষে নিজেই পরীক্ষা করেন লাঙে৷ গ্লাইডিং শুরু করতে দু'হাজার মিটার উপরে উঠে যান তিনি৷ এরপর হাওয়ায় ভাসা ছাড়া কিছু করার নেই৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে