এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রোগহীন ও মেদহীন শরীর আমরা সকলেই চাই। কিন্তু কজনে সেটা অর্জন করতে পারি? মূলত দোষ আমাদেরই। আমাদের নিজেদেরই কিছু ভুল ধারণার কারণে সুস্বাস্থ্য রয়ে যায় হাতের নাগালের বাইরেই। যেমন ধরুন, সকালে নাশতার আগে কী করতে হবে? অবশ্যই দাঁত ব্রাশ, অন্তত এমন জবাবটাই দেবেন সবাই, তাই না? জেনে রাখুন, দাঁত ব্রাশ করার পর্বটি নাস্তার আগে নয় বরং করতে হবে নাশতার পরে। আর এতেই সুস্থ থাকবে আপনার দাঁত। চলুন জেনে নিই সুস্থ তো স্লিম থাকতে সকালে নাশতার আগে কী করতে ও কী খেতে পারেন আপনি।
১. ঘুম থেকে উঠেই নাশতা নয়
সকাল একেক জনের একেক সময়ে হয়। কেউ ঘুম থেকে ওঠেন ৭ টায়, কেউ ওঠেন ৯ টায়, কেউ আবার ১১ টায়। যে যখন ওঠেন, তার জন্য সেটাই সকাল। তবে সুন্দর ও রোগহীন শরীর চাইলে অবশ্যই সকাল সকাল ওঠা অভ্যাস করতে হবে। ঘুম থেকে উঠেই নাশতার টেবিলে বসে গেলে চলবে না। শরীরকে জেগে ওঠার সময় দিতে হবে। ঘুম ভাঙার কমপক্ষে আধা ঘণ্টা পর নাশতা করুন।
২. অবশ্যই ব্যায়াম
মেদহীন ঝরঝরে শরীর চাইলে অতি অবশ্যই সকালের নাশতার আগে ব্যায়াম করতে হবে। সকালের ব্যায়াম অনেক বেশি ফলপ্রসূ। সম্ভব হলে বাইরের বাইরে মরিং ওয়াক করতে যাবেন। এতে শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকবে।
৩. দাঁতের মর্নিং রুটিন
রাতের বেলা অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাবেন। আর সেটা যদি ঘুমান, তাহলে সকালে দাঁত ব্রাশ করার কোন প্রয়োজন নেই। নাশতার আগে খুব ভাল করে কুলি করে নেবেন। এবং নাশতা করা শেষ হলে তারপর দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। দাঁত ফ্লস করবেন ও মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করবেন।
৪. এক গ্লাস পানি অবশ্যই
সকালে নাশতার আগে এক গ্লাস পানি অবশ্যই জরুরি। এই পানিটি ঘুম থেকে ওঠার পর পান করলেই ভাল। সারা রাত আপনার শরীর পানি শুন্য ছিল। তাই ঘুম থেকে উঠেই তাকে পানি দেয়া জরুরি। এই পানি আপনার পাকস্থলীকে সুস্থ রাখবে, আপনার দেহের পানিশূন্যতা রোধ করবে, ভালো রাখবে ত্বক ও চুল। পানি না পান করে খালি পেটে নাশতা কখনই খাবেন না।
৫. মেটাবোলিজম বাড়াতে চাইলে
যাদের ওজনের সমস্যা আছে বা হজমের সমস্যা আছে, তারা মেটাবোলিজম বাড়াতে নাশতার আগে পান করুন মধু মেশানো উষ্ণ পানি। যাদের লেবুতে গ্যাসের সমস্যা হয় না, তারা পাকা লেবুর রস সামান্য চিপে দিতে পারেন। এই পানীয়টি মেটাবোলিজম বাড়ায় ও ওজন কমাতে সহায়তা করে।
৬. পেট বা লিভারের সমস্যা আছে যাদের
এমন সমস্যা থাকলে সকালে নাশতার আগে খালি পেটে অবশ্যই এক কোয়া রসুন খান। আপনি চাইলে চিবিয়ে খেতে পারেন। চাইলে পানি দিয়ে গিলেও খেতে পারেন। খালি পেটে রসুন খাওয়া হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে, অন্যদিকে হজমের গণ্ডগোল রোধ করে। স্ট্রেস থেকে পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে সেটাও প্রতিরোধ করে খালি পেটে রসুন। অন্যদিকে পেটের গণ্ডগোল জনিত অসুখ, যেমন ডায়রিয়া হলে এই খালি পেটে রসুন দ্রুত তা সারিয়ে দেয়। সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ করে ও লিভারের ফাংশন ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
সূত্র-হেলথ ডাইজেট, বিউটি মান্ত্রা
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/