এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সুন্দর এই পৃথিবীতে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার মত সার্থকতা আর নেই। মৃত্যুর পরের দীর্ঘসময় নিয়ে যত কথাই চালু থাকুক না কেন, পৃথিবীতে আমাদের জীবন মাত্র একবারই। সেই এক জীবনে যতটা পারা যায় বেঁচে থাকার চেষ্টা আমরা সবাই করতেই পারি। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ-সংঘাত ইত্যাদি কারণে প্রতিদিন হাজারো দীর্ঘদিন বাঁচতে চাওয়া মানুষ মারা যাচ্ছে। ক্রমাগত জমে ওঠা মৃত্যুর পাহাড় আমাদের মনকে উত্তেজিত করে দেয়, অজানা এক সংশয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন কাটে। কিন্তু এতকিছুর ভিড়েও মানুষ বেঁচে থাকতে চায়, এটাই চিরন্তন সত্য।
পৃথিবীতে মোট পাঁচটি ‘ব্লু জোন’ আছে যেখানে মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। সেই ব্লু জোনগুলোর মধ্যে একটি হল নিকোয়া দ্বীপ। প্রায় এক দশক আগে ড্যান বুয়েসনার ও তার দল পৃথিবীর এই পাঁচটি ব্লু জোন আবিষ্কার করেন। এছাড়াও ড্যান ও তার দল আরও কিছু স্থান চিহ্নিত করেছেন যেখানে মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন। লোমা লিন্ডা, ক্যালিফোর্নিয়া, ইকারিয়া, গ্রিস, সারদিনিয়া, ইতালি এবং ওকিনাওয়া এবং জাপানের মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন। মূলত এই অঞ্চলগুলোর মানুষের খাদ্যাভাস এবং জীবনযাত্রার বিভিন্ন অনুষঙ্গের উপর জরিপ চালিয়ে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
কোস্টারিকার অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে নিকোয়া অঞ্চলের মানুষের গড় আয়ু বেশি। তবে কিছু গবেষকদের দাবি, যেসব অঞ্চলের মানুষ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন তাদের ভেতরে কম বয়সে মৃত্যুর হার বেশি। কিন্তু নিকোয়া অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে দুশ্চিন্তার হার খুব কম থাকায় তারা অনায়াসে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। এছাড়াও নিকোয়াবাসীর প্রতিদিনকার জীবনযাত্রার সঙ্গে লাইমস্টোন জড়িয়ে আছে। আর এই লাইমস্টোন উন্নত ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। যে কারণে নিকোয়াবাসীর হাড়ের গড়ন অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের চেয়ে শক্তিশালী।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক স্বাস্থ্যসেবার পেছনে বছরে যে খরচ করে তার চেয়ে অনেক কম খরচ হয় নিকোয়াবাসীর। এই দ্বীপের একজন সাধারণ মানুষও কমপক্ষে ৯০ বছর বেঁচে থাকে। জাপানের যেকোনো পুরুষের তুলনায় নিকোয়া দ্বীপের একজন ৬০ বছর বয়সী পুরুষ অনেক বেশি কর্মক্ষম এবং শক্তিশালী।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/