এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রানী জগতের মধ্যে অসাধারণ সুন্দর জিরাফ। প্রানীটি দেখতে ভীষণ আদুরে হলেও অন্য প্রনীর ছেয়েও আকারে অনেক বড়, বিশাল উচু তার দেহ, প্রনীটির ৪টি পা শক্তিশালী এবং তেমনই শক্তিশালী তাঁদের গলা।
জিরাফকে দেখায় অনেক সুন্দর হওয়ার কারণ হলো শরীরের চাইতে অনেক উচু গলা। কিন্তু কখনো ভেবেছেন কি, জিরাফের গলা এতটা লম্বা কেন? বিজ্ঞানী ল্যামার্ক ছিলেন ফরাসি প্রাণীতত্ববিদ। তিনি জৈব বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ ব্যক্ত করেন। তার মতবাদ গুলো ছিল অত্যন্ত গোছানো এবং যুক্তিপূর্ণ।
তার মতবাদ গুলো সে সময় অনেক প্রশংসিত হয়। অনেকে আবার তার মতবাদের বিরোধিতা করেন। কিন্তু বেশির ভাগ প্রাণীবিজ্ঞানী তার মতবাদকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তার একটি মতবাদ ব্যবহার ও অব্যবহার সূত্র হিসেবে পরিচিত। এই মতবাদ মতে কোন প্রাণী যদি কোন অঙ্গের ব্যবহার খুব বেশি পরিমাণে করে তাহলে সেই অঙ্গ ক্রমান্বয়ে উন্নত হতে থাকবে।
তবে যদি কোন প্রাণী তার অঙ্গ অনেক দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করে তাহলে তা ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। জিরাফের গলা এই সূত্র মতে ক্রমান্বয়ে লম্বা হয়েছে। প্রাচীন যুগে আফ্রিকা অঞ্চল অত্যন্ত শুষ্ক ছিল। সেখানে কোন ঘাস জন্মাত না। কিন্তু বহু বড় বড় বৃক্ষ ছিল যার পাতা অনেক উপরে ছিল।
জিরাফের আকার তখন ছিল অনেকটা ঘোড়ার মত। জিরাফের গলাটাও ছিল ঘোড়ার মত। শুষ্ক মরুভূমিতে এই জিরাফের খাবারের সঙ্কট দেখা দিল। জিরাফগুলো তখন নিচের ঘাস খাওয়া বাদ দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে উপরের গাছের পাতা খাবার জন্য। কিন্তু গাছের নাগাল পাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
তারা খুঁজে খুঁজে নিচু গাছের বের করে গলা খানিকটা লম্বা করে গাছের পাতা খেতে শুরু করল। এভাবে বহু প্রজন্ম ধরে গলার অত্যধিক ব্যবহারের ফলে জিরাফের মত লম্বা গলার প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবর্তন এক দিনে হয় নি। হাজার হাজার বছরের চেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/