মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:০৫:৪৮

বিষধর গোখরা সাপের সাথে তার বন্ধুত্ব!

বিষধর গোখরা সাপের সাথে তার বন্ধুত্ব!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বন্ধুত্ব শুধু মানুষে মানুষে নয়, কখন মানুষের সাথে এই প্রকৃতির কখন বা পশু-পাখিদের বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। হিংস্র বাঘ, সিংহসহ প্রাণীদের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা শুনেছি। কিন্তু এবার দেখা মিলল বিষধর সাপের সাথেমানুষের বন্ধুত্ব?

ঘটনাটি কাল্পনিক মনে হলেও সত্যি যে, এক ব্যক্তি ভেনোমাস প্রজাতির বিষধর গোখরা সাপকে চুম্বন করছেন, আবার ঠোঁটে ঠোঁট মেলাচ্ছেন। এমন কি তিনি সাপের জিহ্বা নিজের মুখের মধ্যে নিয়ে উপস্থিতদের আনন্দ দিচ্ছেন।

মালয়েশিয়ার তাইপেং শহরের বাসিন্দা সাপুড়ে আমজাদ খানের কাহিনী। তার চরম ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাইতো মালয়েশীয়দের কাছে তিনি ‘স্নেক প্রিন্স বা সর্প কুমার’ নামে পরিচিতি লাভ করেছেন।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, শহরের বিভিন্ন স্থানে এই খেলা দেখিয়ে থাকেন সাপুড়ে আমজাদ খান। শুধু মালয়েশীয়ায় নয়, ‘ওয়াল্ড মোস্ট ট্যালেন্টেড’ টিভি সিরিজে ওই ‘দুর্ধর্ষ’ খেলা দেখিয়ে বিশ্ববাসীরও নজর কেড়েছেন সাপুড়ে আমজাদ খান।

ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকাকে খেলা দেখানোর পূর্বে আমজাদ বলেন, ‘কিং কোবরা হতে আমি মাত্র ১০ শতাংশ নিরাপদ। আমাকে বেশ কয়েকবার কোবরা কামড়েছিল। চিকিৎসকরা এরকম কাজ হতে বিরত থাকার উপদেশ দিলেও আমি এটা না করে থাকতে পারি না।’

সংবাদ মাধ্যম বলেছে, কুয়ালালামপুরে এ ধরনের সাপের একটি খেলা দেখাতে গিয়ে এক গোখরার কামড়ে মারা যান আমজাদের বাবা। কিন্তু এরপরও বাবা-দাদার পেশাকে ছাড়তে পারেননি তিনি। আমজাদের বাবা আলী খান সামসুদ্দীন। তিনি সাপ খেলা দেখিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখিয়েছিলেন। তিনি ৯৯ বার সাপের কামড় খাওয়ার পর অবশেষে মারা যান।

নিজ বংশ পরম্পরাভাবে আমজাদ খান চতুর্থ প্রজন্ম হিসেবে সাপের খেলা দেখিয়ে যাচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে তা জেনেও ওই কাজ করে যাচ্ছেন আমজাদ। তবে তিনি এটিকে ঝুঁকি হিসেবে দেখেন না। তিনি মনে করেন সাপের সঙ্গে তার নিবিড় বন্ধুত্ব। আর এই বন্ধুর জন্য যদি জীবন চলে যায় তবে যাক- তাতে আর করার কিইবা আছে? (বি.দ্র : কেউ বাড়িতে এটি অনুকরণ করবেন না, সাপের বিষ মৃত্যুর কারণ হতে পারে)
তথ্যসূত্র: কুয়ালামপুর.নেট
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে