এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: মহাশূণ্যজুড়ে মহাজাগতিক ম্যাজিক! আবহাওয়াবিদদের মতে, চলতি বছরে মাত্র কয়েক ঘণ্টার তফাতে গত এক দশকের অন্ধকারতম সূর্যগ্রহণ এবং সুপারমুনের সাক্ষী থাকবে বিশ্ববাসী।
অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের। আগামী মহাবিষুবের আগে, ২০ মার্চ ব্রিটেনের বেশ কিছু অংশে আচমকা দিনের আলো মুছে গিয়ে নেমে আসবে নিকষ অন্ধকার। এদিন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে একই সরলরেখায় অবস্থান করবে চাঁদ। ফলে পৃথিবীর উত্তরাংশের বড় অংশজুড়ে ৯৮ শতাংশ সূর্যালোক পৌঁছবে না। বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে সূর্যের অন্তত ৩০ শতাংশ চাঁদের ঘন ছায়ায় ঢাকা পড়বে।
এই রকম আকাশ-দৃশ্য শেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৯৯ সালে। মাঝের ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১১ সালের সূর্যগ্রহণে এই দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়নি পৃথিবীর বাসিন্দাদের। এর পর ২০১৮ সালে সূর্যগ্রহণ হলেও ২০২৬ সালে ঘটবে পরবর্তী অন্ধকারতম সূর্যগ্রহণ। তবে ১৯৯৯ সালের সঙ্গে টক্কর দিতে এবারের পর অপেক্ষা করতে হবে সুদূর ২০৯০ সাল পর্যন্ত।
তবে সূর্যগ্রহণের অসাধারণ দৃশ্যের আগের রাতে আরেক মহাজাগতিক 'ভেল্কি'র সাক্ষী থাকতে চলেছে বিশ্ব। এদিন পৃথিবী ও চাঁদ পরস্পরের নিকটতম দূরত্বে অবস্থান করবে এবং দিনটি পূর্ণিমা হওয়ার কারণে আকাশজুড়ে উদ্ভাসিত হবে বিশাল আকৃতির উজ্জ্বল চাঁদ। চলতি জবানে একেই বলা হয় 'সুপারমুন'। পৃথিবী ও চাঁদের এহেন নৈকট্য অবশ্য প্রতি ১৩ অথবা ১৮ মাস অন্তর ঘটে। তবে অনেক সময়েই ঘন মেঘের উপস্থিতির কারণে এই মনোরম চাঁদের রূপ থেকে বঞ্চিত হয় দুনিয়া।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/