এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নরম বিছানা ছাড়া ঘুম হয় না। শুধু কি তাই? সকালের নাস্তায় গরম চা চাই-ই চাই। ভাবছেন এতো প্রতিটি মানুষের নিত্য দিনের অভ্যাস। না এখানে মানুষ নয়, হাতির নিত্য দিনের অভ্যাসের কথা বলা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, আদর করলে চুমুও খায় সে।
মোয়ো আসরে অনাথ একটি বাচ্চা হাতি। যখন তার বয়স মাত্র কয়েকদিন, বন্যায় মাতৃহারা হয়ে পড়ে সে। উদ্ধারকারীরা তাকে উদ্ধার করে জিম্বাবোয়ের ওয়াইল্ড ইজ লাইফ অভয়ারণ্যে নিয়ে আসে।
সেখানে মোয়ো খুঁজে পায় আর এক নতুন মা কে। না, কোনও মা হাতি নয়। এই অভয়ারণ্যের মালিক রক্সি ড্যাঙ্কওয়ার্টকে নিজের মায়ের জায়গা দেয়। এখান থেকেই শুরু তার বড় হওয়া। পড়াশুনা। এখানে কেমন কাটায় মোয়ো?
এখন তার বয়স ১৪ মাস। মোয়োর মা তাকে ছেড়ে কবেই চলে গেছে। তবে তার দুঃখ নেই। এই অভয়ারণ্যের প্রতিষ্ঠাতা লেডি রক্সি ড্যাঙ্কওয়ার্টসের কাছ থেকে মায়ের সব রকমের আদর পেয়ে থাকে সে।
মোয়ো সম্পর্কে ড্যাঙ্কওয়ার্টস জানান, “সে আমার কন্ঠ চিনতে পারে। আমার শরীরের গন্ধ সে অনুভব করতে পারে। তাই আমি যেখানেই থাকি ঠিক সে খুঁজে খুঁজে চলে আসে।”
ড্যাঙ্কওয়ার্টস আরও জানান, “এখন সে বড় হচ্ছে। এতবড় ঘরটা তার কাছে কেমন যেন ছোট হয়ে গেছে। তাকে এখন হ্যান্ডেল করতে সত্যিই খুব অসুবিধা হয়।”
এখানে সব জীবজন্তুদের মধ্যে খুব আদুরে হল মোয়ো। তার ব্যবহার এতটাই বন্ধুত্বপূর্ণ যে তাকে ভাল না বেসে কেউ থাকে পারে না। তাই তার জন্য সবরকম সুবিধা ও শিক্ষা দিতে চায় ওয়াইল্ড ইজ লাইফ অভয়ারণ্য।
মোয়ো সবসময় কিছু না কিছু কাজ করেই থাকে। কখনও চায়ের কাপে শুঁড় দিয়ে চা পান করছে। কখনও বা চামচ মুখে করে তছনছ করছে রান্নাঘর।
ড্যাঙ্কওয়ার্টস জানান, রান্নাঘরে ঢুকে আগে শুঁকে দেখে নেয় কোন খাবারের কেমন স্বাদ। ভাল বিছানা না হলে ঠিকঠাক ঘুম হয় না তার। আর ড্যাঙ্কওয়ার্টস কাছে না থাকলে তো হুলুস্থুল করে তোলে সারা ঘর।
তার দুষ্টুমিতে সেখানকার অন্যান্য কর্মচারীরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কিন্তু তাতে কী। শুঁড় দিয়ে যখন ভালবাসা জানায়, তখন তাদের সব বিরক্ত উধাও।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস