এক্সক্লুসিভ ডেস্ক:এমন একসময় ছিল যখন দেশের বাইরে থেকে এসব ব্যাট আমদানি করতে হতো এবং বাজারটি ছিল বিদেশি ব্যাটের দখলে।
কিন্তু গত এক দশকে এই পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা।এই ব্যবসা করেই ঘুরে গেছে সেখানকার অনেক বাসিন্দার জীবন।
নরেন্দ্রপুরের তৈরি ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে অবশ্য পেশাদার বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয় না। এসব ব্যাট মূলত টেনিস বল বা টেপ দিয়ে মোড়ানো বল দিয়ে ক্রিকেট খেলারই উপযোগী।
এসব ব্যাট দিয়ে ক্রিকেট খেলা হয় শহরের গলি-মাঠ থেকে শুরু করে - ফসল কাটার পর ধানক্ষেতে পর্যন্ত ।
বাংলাদেশ কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে জিতলেই আমাদের ব্যাটের বিক্রি বেড়ে যায়। সুজিত বিশ্বাস, নরেন্দ্রপুরের ব্যাট প্রস্তুতকারক
কিন্তু ভবিষ্যতের পেশাদার ক্রিকেটারদের অনেকেই হয়তো অল্পবয়েসে তাদের ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন এ ধরণের ব্যাট দিয়েই।
নরেন্দ্রপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম এক সময় যশোর শহরে কাঠের আসবাবপত্র বানানোর ব্যবসা করতেন। তা ছেড়ে দিয়ে এখন তিনি বানাচ্ছেন ক্রিকেট ব্যাট। গ্রামের বাড়িতেই এখন তার ব্যাট তৈরির কারখানা। বাংলাদেশের সব জায়গাতেই বিক্রি হচ্ছে তার ব্যাট।
নরেন্দ্রপুরের মিস্ত্রীপাড়ার ব্যাট-নির্মাতা পরিবারগুলোর নারীপুরুষ সবাই জড়িত এই কাজের সাথে। ফাতেমা বেগম সংসার চালান ব্যাট বিক্রি করেই। পারিবারিক এ উদ্যোগে কাজ করছেন তার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িও।
মিস্ত্রীপাড়ার সুজিত বিশ্বাস বলছিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কেমন খেলছে তার ওপরও তাদের ব্যাটের ব্যবসা নির্ভর করে।
"বাংলাদেশ কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে জিতলেই আমাদের ব্যাটের বিক্রি বেড়ে যায়" - বলছিলেন মি. বিশ্বাস। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নে এই গ্রামের অবদান অনস্বীকর্য ।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/