এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মূলত কেউই চান না তার মিষ্টি ভালোবাসার সম্পর্কটিতে টানাপোড়ন আসুক। ভেঙে যাক তিল তিল করে গড়ে নেয়া একেকটি স্বপ্ন। কিন্তু নিজেদেরই কিছু ভুলে সঙ্গী আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যান যা আমরা বুঝতেও পারি না। অথবা নিজেদের কিছু ভুলেই সম্পর্কে চলে আসে তিক্ততা যা দূর করতে অনেকেই মনে করেন সম্পর্ক ভেঙে ফেলাই উত্তম। কিন্তু সম্পর্কচ্ছেদই সমস্যার সমাধান নয়। বরং আমাদের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এবং আমাদের নিজেদের কিছু গুণই ফিরিয়ে দিতে পারে সম্পর্কের মধুরতা এবং সেই সাথে সম্পর্ককে করতে পারে দীর্ঘস্থায়ী।
১. দুজনের একদফা তুমুল ঝগড়া হয়ে গেছে। ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখলেন ভুলটা আপনারই ছিলো, তখন নির্দ্বিধায় বলে ফেলুন,‘আমি দুঃখিত’। নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিলে ভবিষ্যতে অন্যায় করার আশঙ্কা থাকে না। দুঃখিত বলে পুনরায় একই ভুল করলে আপনার প্রতি আপনার সঙ্গীর শ্রদ্ধায় কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। তাই দ্বিতীয়বার আর সেই যেন না হয় তার চেষ্টা মনের ভেতর পোষণ করতে হবে দৃঢ়ভাবে।
২. প্রতিদিন একে-অপরের প্রশংসা করুন। হতে পারে একদম ছোট বিষয়ে। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই। ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে কার না ভালো লাগে।
৩. একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ করে সঙ্গীর কথা শুনুন। গুরুত্ব দিন তার কথায়। সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে এর কোনো বিকল্প নেই।
৪. দুজন মানুষের সম্পর্কে মান-অভিমান খুব সাধারণ বিষয়। অভিমানের সময়টিতে চুপ করে বসে না থেকে কিংবা কথা কাটাকাটি না করে সুন্দর কিছু একটা করার চেষ্টা করুন। অভিমান আপনাকে কেবল সুন্দর মুহূর্ত থেকে বঞ্চিতই করে। সুতরাং ধীরে সুস্থে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করুন।
৫. দিনের ঝগড়া নিয়ে রাতে ঘুমোতে যাবেন না। ঘুমোনোর আগে সব ঝগড়া শেষ করুন নতুন দিনের নতুন সকালে নতুন প্রত্যয়ে জাগুন,ভালোলাগা ভর করবে দুজনের উপরই।
৬. দিনক্ষণ না গুণে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।
৭. বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/