এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আমাদের চারপাশের এই প্রকৃতি না জানি কতই অদ্ভুত সৌন্দর্যের ভান্ডার লুকিয়ে রেখেছে। এই সুন্দর ফুলটির কথাই ধরা যাক। হয়ত আগে এই ফুলের সাথে অনেকেই পরিচিত নাও হতে পারেন। দেখতে ঠিক তোতা পাখির মত। আর এর আকার আকৃতির সাথে মিল রেখে এই ফুলের নাম দেওয়া হয়েছে “তোতাপাখি ফুল”। এই ফুল গুলিকে খুঁজে পাওয়া যায় থাইল্যান্ড এবং ভারতের উত্তরের বনাঞ্চলে। এছাড়াও বার্মায় বিপুল সংখ্যায় এই ফুলের খোঁজ মেলে।
এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Impatiens Psittacina Hook.f এ এই ফুল প্রথম আবিস্কার হয় বার্মার শান নামক অঞ্চলে আর আবিস্কার করেন 'হিল্ডাব্রান্ড'। আবিস্কারের পরেই কিন্তু এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয় নাই। ১৮৯৯ সালে প্রথমে এই ফুলের বীজ সংগ্রহ করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় রয়্যাল গার্ডেনে, তারপর এই রয়্যাল গার্ডেনেই ১৯০০ সালে প্রথম ফুল ফোটে। বলতে পারেন মানুষের পর্যবেক্ষনে প্রথম এই ফুল ফুটানো হয়। কেননা এই ফুল এর আগে সবার অগোচরে বনাঞ্চলেই ফুটতো। এরপর ১৯০১ সালে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী 'জোসেফ ড্যালটন হুকার' সর্বপ্রথম এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবিহত করেন।
এই তোতাপাখি ফুলের গাছ উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুটের মত হয়। আর এর পাতা লম্বায় ৬ সেঃমিঃ এর মত হয়ে থাকে। আর ফুল প্রায় ৫ সেঃমিঃ এর মত হয়ে থাকে। এই ফুল সাধারনত অক্টোবার থেকে নভেম্বরের মধ্যে ফোটে। এই তোতাপাখি ফুলের গাছ সব জায়গায় জন্মাতে পারে না, কেননা এরা পরিবেশ দ্বারা অনেক বেশী প্রভাবিত হয়। সাধারনত সমূদ্র সৈকত অঞ্চলে যেখানে বাতাসের আদ্রতা অনেক বেশী সেই সকল জায়গায় বেশী জন্মায়। আর এই ফুলের রঙ হাল্কা বেগুনী এবং গাঢ় লাল রঙের হয়। আর এই দু’টি রঙকে মাঝখানের সাদা রঙ আলাদা করে রেখেছে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/