মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:২১:৪৩

যেখানে খেলনা নয়, জীবন্ত বাঘ ও সিংহ চায় শিশুরা

যেখানে খেলনা নয়, জীবন্ত বাঘ ও সিংহ চায় শিশুরা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কাপড় বা তুলোয় তৈরি খেলনার বাঘ বা সিংহই আর মন ভরছে না সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিশুদের! এবার খেলার জন্য তাদের সত্যিকারের জীবজন্তু দিতে হবে। সেই দাবি মেনে, বহু বাড়িতে পোষা প্রাণী হিসাবে ছোট গিরগিটি, সাপ থেকে শুরু করে কুমির, অজগর এমনকি সিংহ পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। বন্য পশু সংরক্ষণের সাথে জড়িত সদস্যরা এই প্রবণতায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এক বিশেষজ্ঞ সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছেন, মূলত বাচ্চাদের চাপাচাপিতে অনেক পরিবার এই কাজে লিপ্ত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক পশু কল্যাণ তহবিল আইএফডব্লিউ-এর কর্মকর্তা ড এল সায়েদ মোহামেদ গালফ সংবাদসংস্থাকে জানাচ্ছেন, প্রধান সমস্যা হচ্ছে বহু শিশু দোকানের খেলনার বদলে রক্তমাংসের জীবজন্তুর সাথে খেলতে চাইছে। “প্রধানত শিশুরাই এই চাহিদা তৈরি করছে।” শিশুদের দাবি মেনে পরিবারও জ্যান্ত জীবজন্তু তুলে দিচ্ছে তাঁদের ছোট্ট সোনার হাতে।

ড মোহামেদ জানান, ইউএইতে কাজ করার সময় তিনি যত শিশু কিশোরের সাথে কথা বলেছেন, তদের প্রত্যেকের বাড়িতেই কোনও না কোনও বন্য জন্তু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অজগর, এমনকি সিংহও রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আরব আমিরাতের সরকার এই প্রবণতা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।

নজরদারির ফলে সেদেশে ২০১০ সালে যেখানে সিংহ আমদানির সংখ্যা ছিল ১১৪টি, ২০১২ সালে তা নেমে দাঁড়ায় পাঁচটিতে। শারজার সরকার নভেম্বর মাসে এ ধরণের বন্য জন্তু ঘরে রাখা নিষিদ্ধ করে একমাসের মধ্যে সেসব কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। যেসব জন্তু জমা পড়েছে, তার মধ্যে অনেক বাঘ, লেপার্ড, কুমিরও ছিল।

২২ সেপ্টম্বর,২০১৪/এমটিনিউজ২৪/এসবি/এসএস
 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে