বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৫:৫৪

শত শত বছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা প্রাচীন এক শহরের সন্ধান

শত শত বছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা প্রাচীন এক শহরের সন্ধান

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মেক্সিকোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রাচীন আমলের একটি শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে। শত শত বছর ধরে শহরটি লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল। 

প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেখানে পিরামিড, খেলার মাঠ, বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত সড়ক, বাঁধ এবং থিয়েটার আবিষ্কার করেছেন। লুক্কায়িত যে ভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে, সেটির নামকরণ করা হয়েছে ভ্যালেরিনা।

এক ধরনের লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ম্যাপ তৈরি করার সময় প্রাচীন শহরটির খোঁজ পাওয়া যায়। লাতিন আমেরিকায় প্রাপ্ত পুরনো সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে এটি বৃহত্তম বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা মেক্সিকোর ক্যাম্পেচে শহরের পৃথক তিন স্থানে বিভিন্ন স্থাপনার সন্ধান পেয়েছেন। নতুনভাবে আবিষ্কৃত অঞ্চলটি স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরার চেয়েও বড়।

যুক্তরাষ্ট্রের তিউলান ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক লুক অল্ড থমাস বলেন, গুগলে লেজার সার্ভের ফলাফল দেখছিলাম। পরিবেশবিষয়ক একটি সংস্থা এটি করেছে। সেটি ছিল একটি লিডার জরিপ। বিমান থেকে লেজার ব্যবহার করে নিচের স্থানের নকশা তৈরি করা হয় এই পদ্ধতিতে।

অল্ড থমাস প্রত্নতাত্ত্বিকদের এসব তথ্য বিশ্লেষণের সময় দেখেন, অন্যরা ম্যাপ তৈরির সময় বেশ কিছু পুরনো স্থাপনা এড়িয়ে গেছেন। ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের বসবাসের শহরটি ৭৫০ থেকে ৮৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। ওই অঞ্চলে বর্তমানে বসবাসকারীদের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ সেই শহরে ছিল। লেগুন শহরের পার্শ্ববর্তী শহরটির নাম ভ্যালেরিনা রেখেছেন গবেষকরা। এর পাশের শহরটি লেগুন নামে পরিচিত।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও আধুনিক চিন্তাধারার লোকজন প্রাচীন ওই শহরে বাস করত। সেখানে মানুষের বসবাস উঠে গেল কেন, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, মানুষজন শহরটি ছেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।

শহরটির কোনো ছবি নেই। কারণ, এর আগে কেউ-ই সেখানে যায়নি। গবেষকদের ধারণা, মাটির নিচে শহরের বিভিন্ন কাঠামো চাপা পড়ে থাকতে পারে। গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের প্রফেসর এলিজাবেথ গ্রাহাম বলেন, জনবসতিবিহীন শহরের অস্তিত্ব চোখে পড়লেও একসময় এটি এ রকম ছিল না।

আগে জরিপগুলো হাতে করা হতো। সরল যন্ত্র ব্যবহার করে ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি মেপে নকশা করা হয়েছিল। তবে ইদানীং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকশা তৈরির পাশাপাশি জনগণকে মোবাইল ও কম্পিউটারের মাধ্যম তা সরাসরি দেখানোও সম্ভব হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে