দেখতে ভয়ঙ্কর হলেও নিরীহ প্রাণী আই-আই
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জগতে এমন কিছু প্রাণী আছে যাদের রূপ বাইরে থেকে দেখলে গা শিউরে ওঠে ভয়ে। কিন্তু খোঁজ নিলে দেখা যাবে এসব প্রাণী আসলে ভেতরে ভেতরে খুবই নীরিহ প্রকৃতির। এ প্রাণীদের মধ্যে আই-আই একটি।
বিড়ালজাতীয় এ প্রাণীর চোখের দৃষ্টিতে অশুভ কি যেন একটা আছে। যা সহেজই মানুষকে ভায় পাইয়ে দেয়। এ প্রাণীর চোখ দেখে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ তো বটেই আধুনিক মনোভাবাপন্ন মানুষও ভয় পেয়ে যাবে। লম্বা লম্বা চর্মসার হাতের আঙুলগুলোও চমকে দেবে যে কাউকে।
কিন্তু প্রাণীটি খুবই নিরীহ ও সাধারণ গোছের। অশুভ-রহস্যময় দৃষ্টি আর বিশেষ আকৃতির হাত প্রকৃতির বিশেষ খেয়াল ছাড়া আর কিছুই নয়। যে আঙুল দিয়ে এরা থেকে কীটপতঙ্গ ধরে ধরে খায় তা অনেকের কাছে বিশেষ ভয়ের বস্তু।
স্থানীয়দের ধারণা এদের মধ্যাঙ্গুল যদি কারো দিকে তাক করা হয় তবে তার মৃত্যু অতি নিকটে। এ ভুল ধারণার জন্য প্রায়ই এদের প্রাণ হারাতে হয় স্থানীয়দের হাতে।
প্রায় বিপন্ন প্রজাতির এ প্রাণীরা সাধারণত ফলের বীজ, অমৃত, ফল ও শুককীট জাতীয় পোকামাকড় খেয়ে থাকে। ১৪ থেকে ১৭ ইঞ্চি দৈর্ঘের ও ৪ পাউন্ড ওজনের এ প্রাণীটি হচ্ছে নিশাচর প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এদের দেহ বাদামি রঙের পশমে ঢাকা, সাদা চুল এবং বিরাট চোখ থাকে।
এদের মধ্যাঙ্গুলি যেটা তারা পোকামাকড় ধরার কাজে ব্যাবহার করে সেটা অন্য আঙুল থেকে ২-৩ গুণ বড় এবং মারাত্মক চিকন হয়। এ আঙুল এরা অতি দ্রুততার সাথে নাড়াতে পারে।
এদের দেহে বেশ কয়েকটি প্রাণীর মিল আছে। যেমন এদের দেহ বানরের মতো, থাবা শ্লথের মতো, মুখ অনেকটা বেজির মতো। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ ছাড়া এদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো বাজপাখি।
আই-আই বেশ অসামাজিক প্রাণী, যারা সঙ্গীর সাথে মিলিত হয় শুধু সঙ্গমের জন্য। রহস্যময় দেহ বৈশিষ্টের অধিকারী প্রাণীটির আয়ুকাল সাধারণত ২০-২৩ বছর।
২২ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/ আল-আমিন/এএস