শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:০৫:০৪

এই গাছের বীজ স্পর্শ করলে নিশ্চিত মৃত্যু, কোবরা সাপের চেয়েও বেশি বিষাক্ত!

এই গাছের বীজ স্পর্শ করলে নিশ্চিত মৃত্যু, কোবরা সাপের চেয়েও বেশি বিষাক্ত!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতবর্ষে অর্ধেকের বেশি মানুষ আজও গ্রামে বসবাস করে। যেখানে সর্বত্র বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, ঘাস ও বুনো ঝোপের দেখা পাওয়া যায়। তবে শহরেও অনেকেই ভুলবশত টবগুলিতে এমন কিছু গাছ লাগায় যেগুলো দেখতে সুন্দর হলেও বাস্তবে খুবই বিপদজনক। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তার মাথা ফুলে গিয়েছিল এবং রক্তাক্ত ডায়রিয়া হয়।

সমস্ত উপসর্গগুলো যেন বিষ, যা শিশুটির শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পান শিশুটির শরীরে আবরিন নামের বিষ রয়েছে। একটি অ্যাব্রাস পিট্রোরিয়াস নামের একটি উদ্ভিদের বীজ থেকে এই বিষ পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গাছের বিষ এতটাই বিপদজনক যে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে মৃত্যুও হতে পারে।

অ্যাব্রাস পিট্রোরিয়াস নামের এই উদ্ভিদ সম্পর্কে বলা হয় এর বিষ যে কোন বিষাক্ত সাপের চেয়েও বেশি এবং এটি একবার আপনার শরীরে প্রবেশ করলে তাকে বের করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন, যে এই গাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।

লালচে কমলা রঙের বীজ সহ এই উদ্ভিদটি ভারতের অনেক এলাকায় পাওয়া যায়। আপনার বাড়ির আশেপাশেও হতে পারে। তাই দেখা করলে তা স্পর্শ না করে মাটি থেকে উপরে ফেলুন এবং পুঁতে ফেলুন। অথবা সম্ভব হলে এই বিষয়ে বন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

অ্যাব্রাস পিট্রোরিয়াসের বিষ মানুষের শরীরে প্রবেশের সাথে সাথে এটি কোষগুলিকে ভিতর থেকে অসুস্থ করতে শুরু করে এবং কোষগুলিতে প্রোটিন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। শরীরে প্রোটিন উৎপাদন বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে কোষগুলি মারা যেতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ওই ব্যক্তিটিও মারা যায়। এই গাছটি এতটাই বিপদজনক যে এর বীজ থেকে শুরু করে পাতা, কান্ড এবং শিকড় সবকিছুই বিপদজনক।

সাপের বিষ বিপদজনক হলেও এটি থেকে অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়। একইভাবে অ্যাব্রাস পিট্রোরিয়াস গাছটির বিষাক্ত ও বিপদজনক হলেও এতে অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। এই উদ্ভিদটিকে চলতি ভাষায় গুঞ্জা বা রত্তি উদ্ভিদ বলা হয়। এর নির্যাসে ক্যান্সার বিরোধী এবং টিউমার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কেউ ভুলেও ব্যবহার করবেন না, আপনার সামান্য ভুল আপনার জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে