এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: গাইবান্ধা থেকে মোঃ মামুনুর রশিদ মন্ডল,জানান, গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চল সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গ্রামাঞ্চলেও সম্প্রতি ফুলের চাষ হচ্ছে। ফলে গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও এখন ফুলের ব্যবহার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংগত কারণেই গ্রামেও ফুলের ব্যবসা এখন জমজমাট। এজন্য বেড়েছে ফুলের চাহিদা। আর এই চাহিদা পুরণেই সুন্দরগঞ্জের কৃষক পরিবারের বেকার যুবক লিটন বাবু ফুল চাষ করে তার নিজের বেকারত্ব দূর করণে সক্ষম হয়েছেন।
প্রত্যন্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের পূর্ব ছাপড়হাটী গ্রামে এখন গাঁদা, রজনী গন্ধা, গোলাপ, গ্লাডিউলাস ফুল চাষ হচ্ছে। ওই গ্রামের কৃষক পরিবার রবীন্দ্রনাথের পুত্র লিটন বাবু ইতোমধ্যে তার বসতবাড়ি সংলগ্ন জমিতে ফুল চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা গেছে, লিটন বাবু লেখাপড়া শেষ করে যখন চাকরি পাচ্ছিলেন না, তখন তিনি ফুল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েনে। শুরুতেই তিনি তার বাড়ির উঠোনে টবের মধ্যে ফুল চাষ করে সেগুলো বিক্রি করতেন। পরবর্তীতে ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি বসতবাড়ি সংলগ্ন জমিতে ফুল চাষ শুরু করেন। এজন্য একটি নার্সারীও স্থাপন করেন।
লিটন জানালেন, এখন ২ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করা হচ্ছে। প্রতি বছর ফুল থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় হচ্ছে। বর্তমানে তাঁর জমিতে রজনীগন্ধা, গ্লাডিউলাস, গাদা, গোলাপ, ডালিয়া, সূর্যমুখী, দোপাটি, নয়নতারা, চন্দ্র মল্লিকসহ বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ঔষধী গাছের চারাও তিনি বিক্রি করছেন। এ থেকে ব্যয় বাদেও যে টাকা আয় হচ্ছে তা দিয়ে সে নিজের পরিবার পরিজনকেও লালন পালন করতে পারছেন।
এই ফুল চাষ তার বেকারত্ব দুরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া তার সাথে কাজ করে ৫ জন নিয়মিত শ্রমজীবি মানুষ তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহে সক্ষম হচ্ছেন।সরকারীভাবে প্রশিক্ষণসহ ফুল চাষে ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা পেলে তার মত অনেক কৃষক ফুল চাষের মাধ্যমে আত্মনির্ভর হতে পারেন। এমনকি তাতে এ দেশ থেকে উন্নত জাতের ফুল বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব হতো।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস