এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: এক যে ছিল প্রেমিক ডাকপিয়ন। না পাঠক, তাকে আর আমরা এখন প্রেমিক বলতে পারি না। তার প্রেম ভেঙে গেছে। সেসঙ্গে ভেঙে গেছে তার হৃদয়। পাথরচাপা কষ্ট বুকে নিয়ে সে এখন বেঁচে থাকে।
আর তাই তো তার কাঁধে চিঠির ঝুলিটাকে তার আরো ভারি মনে হচ্ছিল। আর তাই সে এক আজব কান্ড করে বসে। সে তার কাঁধের ঝোলা হালকা করতে প্রায় ৩শ চিঠি এবং পার্সেল ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় তার জেল-জরিমানা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার পর মেইল ব্যাগটাকে খুব ভারি মনে হচ্ছিল নটিংহাম শহরের ডাকপিয়ন সন্দীপ সিংয়ের। প্রেমিকার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় ২৭ বছরের এ যুবকের মন একেবারেই ভেঙে যায়। দুশ্চিন্তায় তার ওজনও বেশ কমে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন স্টোন ওজন কমে গিয়েছিল তার।
এজন্য কিছুদিন ধরে চিঠির ব্যাগটাকে তার পাথরের মতো ভারি মনে হচ্ছিল। বিলি করার বদলে কিছু চিঠি সে ফেলে দিতে শুরু করে। সন্দীপ ভেবেছিল, মোবাইলের যুগে এসব চিঠির কীইবা আর গুরুত্ব। তবে এগুলোর মধ্যে চিঠি ছাড়াও ছিল টেলিফোন বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্টস এবং ক্রেডিট কার্ড বিল।
তিন সপ্তাহ ধরে সন্দীপ ২২৯টি চিঠি ফেলে দিয়েছিল ডাস্টবিনে। আরো ৫০টি চিঠি রেখে দিয়েছিল নিজের কারবুট এবং বিছানার তলায়। পরে ডাস্টবিন সাফ করতে এসে ওইসব চিঠি উদ্ধার করে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার চুরি এবং চিঠি বিলিতে বিলম্বের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। শাস্তিস্বরূপ তার ৮ দিন ৮ ঘণ্টা জেল এবং আরো ২৩শ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/