মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৪৯:৫২

ভিক্ষুক যখন কোটি টাকার মালিক

ভিক্ষুক যখন কোটি টাকার মালিক

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভিক্ষুকের আবদারে কমবেশি সবারই মায়া হয়। হাত পাতলে দু’চার টাকা দিয়ে থাকি আমরা। অনেকেই আবার ভিক্ষুককে টাকা দিতে চান না। আবার অনেকেই টাকা দেয়ার বদলে একবেলা খাবার খাইয়ে দেন।

তবে ঢাকা শহরে ভিক্ষুকদের খাবারের পরিবর্তে টাকার দিকেই উৎসাহ থাকে বেশি। ঢাকায় দাওয়াতি ভিক্ষুকের বড় অভাব। অবশ্য গ্রামগঞ্জে এ প্রচলনটা বেশি।

ভিক্ষুকের ভিক্ষা করাই সবাব। তবে কেউ যদি বলে কোটি টাকার ভিক্ষুকের সন্ধান পাওয়া গেছে। আপনি বিশ্বাসই করতে চাইবেন না। ভিক্ষুক আবার কোটি টাকার মালিক হয় কি করে। তবে হ্যাঁ, এমনই এক ভিক্ষুকের সন্ধান মিলেছে যিনি দেড় কোটি টাকার মালিক!

সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পাটনায় ওই ভিক্ষুক দেড় কোটি টাকার মালিক। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি ব্যাংকে তার নামে ছয় লাখ টাকার বেশি জমা আছে। পাপ্পু কুমার নামের ওই ভিক্ষুক যে এত টাকার মালিক তা সহজে বোঝা যায়নি।

পাটনা পুলিশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে  রেলস্টেশনকে ভিক্ষুক মুক্ত করার জন্য এক অভিযান চালায়। সেই অভিযানে পাপ্পু নামের ওই ভিক্ষুককে অন্যত্র চলে যেতে বলা হলেও তিনি যাননি।

এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। একে একে তার অর্থ সম্পদের খোঁজ-খবর নেয়া হয়। পাপ্পু গত সাত বছর ধরে প্রতিদিন পাটনা রেলস্টেশনে ভিক্ষা করতেন বলে জানায়।

পুলিশ পাপ্পুর শরীরে তল্লাশি শুরু করে চারটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করে। এরমধ্যে ব্যাংক অব বারোদা, এলাহাবাদ ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের কার্ড ছিল।

কার্ডগুলোর জের ধরে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে যে, তার ব্যাংকে ছয় লক্ষাধিক টাকা আছে। পাপ্পু ব্যক্তিজীবনে একজন প্রকৌশলী হতে চেয়েছিলেন কিন্তু তা হতে না পেরে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেন বলে পুলিশকে জানায়।

পাপ্পুর ভাষ্য, পরীক্ষায় ৫৭ নম্বর পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেন। গণিতে ৭২ পেয়েছিলেন বলে জানান। প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও ভাগ্যে জোটেনি।

তিনি জানান, ওই সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম এবং শরীরের একটি অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। এরপর তার আর অন্য কোনো উপায় ছিল না ভিক্ষা ছাড়া। দুর্ঘটনার পর পরিবার লোকজন তার ব্যয়ভার বহন করতে পারছিল না।

তার বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকাসূত্রে ৩৬০ বর্গফুট ভূমি পান, কিন্তু তা বিক্রি করে দিয়ে আবাসন ব্যবসায় অর্থ খাটান। ৩২ বছর বয়সী পাপ্পু বর্তমানে দেড় কোটি টাকার মালিক।

অবশ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে ভিক্ষাবৃত্তি ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবন যাপনের পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু পুলিশের কথা ধনাঢ্য ভিক্ষুকের কানে ঢোকেনি। এ কথা জানান পাটনা পুলিশ ইন্সপেক্টর রাজেশ লাল। সূত্র : ইন্টারনেট
২২ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে