এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আমরা অনেক সময় দেখি বিদ্যুদের তারে বসে আছে পাখি। কিন্তু তাদের বৈদ্যুতিক শক লাগে না। কিন্তু কেন! আমরা কি সে কথা জানি?
কিন্তু আমরা জানি প্রাণীর দেহ মানেই বিদ্যুৎ পরিবাহী। তাই বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলে যেকোনো প্রাণিই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। তাহলে পাখিও তো প্রাণী! তারা কিভাবে অবলীলায় বিদ্যুতের তারে বসে থাকে? এখন আপনার মনে এমন প্রশ্ন তো আসতেই পারে। তাই না?
তাহলে আসুন জেনে নিই কেন পাখি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় না। সব কিছু পরিবহনের জন্য একটা না একটা মাধ্যম দরকার হয়। তেমনি বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষেত্রেও একই প্রচলন।
যেমন একটা তারে কিন্তু বৈদ্যুতিক কাজ চলে না। দরকার হয় দুটো তার। দুটো তারের একটা মাটির সাথে সংযুক্ত। একে বলে আর্থ কেবল। আরেকটা তার উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বয়ে আনে। একে বলে ফেজ তার।
আর্থ আর ফেজ তারের ভেতর সংযোগ ঘটে তখন ফেজ তারের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ইলেক্ট্রন খুব সহজেই আর্থ কেবলের ভেতর দিয়ে মাটিতে চলে যেতে পারে। এখন মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণি যদি ফেজ তার স্পর্শ করে তাহলে সে এক ধরনের ঝাঁকুনি অনুভব করবে।
যদি ওই প্রাণী বা মানুষের শরীরের কোনও অংশ মাটি বা আর্থ কেবলের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তার শরীর তখন পরিবাহকের ভূমিকা পালন করবে। শরীরের ভেতরে তখন বৈদ্যুতিক ক্রিয়া শুরু হবে ভীষণ মাত্রায়। শরীরের ভেতরের কোষগুলো ভেঙে যাবে। ভেঙে পড়বে শরীরে সকল সিস্টেম। তখন ওই প্রাণি বা মানুষ মারা যাবে।
কোনো পাখি যখন বিদ্যুতের তারে বসে, তখন সে একটি তারের সাথেই সংযুক্ত থাকে। তাই তার ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে মাটিতে চলে যেতে পারে না। আর পাখিরা সাধারণত একটি তারেই বসে। যার ফলে অন্যতারের সাথে কোন সংযোগ ঘটে না। আর শট সার্কিটও হয় না। ফলে পাখি শক লেগে মারাও যায় না।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন