এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : লেখার হাত ভালো হলে, আর ছবি তোলার দক্ষতা থাকলে, ঘুরে বেড়িয়েও রোজগার করা যেতে পারে ভালো অঙ্কের টাকা। কিন্তু কীভাবে?
বেড়াতে যেতে আপনি ভালোবাসেন৷ কিন্তু বেড়াতে যেতে হলে অর্থের দরকার৷ অর্থের অভাবে ট্যুর প্ল্যান করেও কখনও কখনও পিছিয়ে আসতে হয় আপনাকে? কিন্তু এমনটা যদি হয়, বেড়ানোর নেশাটাই আপনার জন্য অর্থ রোজগারের রাস্তা খুলে দেয়? তাহলে তারচেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে কি?
নতুন নতুন পেশার ক্ষেত্র তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে এই ধরনের কাজের সম্ভাবনা৷ আর যে রোজগারের ক্ষেত্রগুলি ভ্রমণের কারণে তৈরি হচ্ছে, তার অধিকাংশ আরও একবার আপনাকে সুযোগ দিতে পারে নিজের ক্রিয়েটিভ সত্ত্বাকে তুলে ধরতে৷ রাস্তা মূলত দুটো৷ প্রথমটা লেখালিখি সংক্রান্ত৷ দ্বিতীয়টা ছবি তোলা বিষয়ক৷
এখন অনেকেই একটু কম পরিচিত জায়গায় বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন৷ আর তাই তাঁরা ইন্টারনেটে সেই সমস্ত ট্রাভেল ব্লগারদের দ্বারস্থ হন, যাঁদের লেখা থেকে এই সব অচেনা জায়গার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে৷ তাই পৃথিবীব্যাপীই চাহিদা বাড়ছে ভ্রমণের বিষয়ে লেখা ব্লগের৷ ক্রমশ এটাই হয়ে উঠতে পারে, আকর্ষণীয় একটি পেশা৷
শুধুমাত্র লেখালিখি নয়৷ ছবি তোলাটাও ভ্রমণপিপাশুদের জন্য হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত আকর্ষণীয় রোজগারের রাস্তা৷ নিজের ওয়েবসাইট তো বটেই এছাড়াও দেশের বহু ভ্রমণ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশের জন্য লেখা পাঠাতে পারেন তাঁরা৷ যা থেকে মন্দ রোজগার হয় না৷
পেশাদার ওয়াইল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফার, দিল্লি-নিবাসী জয় মজুমদার অবশ্য ভ্রমণের মারফত এই ভাবে রোজগারের রাস্তা সম্পর্কে খুব একটা এখমত নন৷ তাঁর মতে, ব্লগিং জিনিসটা এখনও ভারতে ততটা জনপ্রিয় হয়নি৷ আর ছবি তুলে, সেই ছবি পত্রিকায় পাঠানো যায়, সেখান থেকে অল্পস্বল্প রোজগারও হতে পারে, কিন্ত্ত সেটা মোটেই বিরাট অঙ্কের টাকা নয়৷ বিদেশে ছবি পাঠিয়ে রোজগার হতে পারে৷
কিন্ত্ত সেটা করার জন্য ছবির মান হতে হবে মারাত্মক ভালো৷ কিন্ত্ত ভ্রমণ কারও নেশা হলে, রোজগারের রাস্তা সেখান থেকে খুলে যেতেই পারে বলে মনে করেন জয়৷ 'অ্যামাচার ফটোগ্রাফারদের নিয়ে ট্রিপ অর্গানাইজ করে এখন বহু ফটোগ্রাফার রোজগার করছেন', জানালেন জয়৷
কীভাবে? 'কোনও একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার একটি বিশেষ জায়গায় গিয়ে-গিয়ে হয়তো নেটওয়র্ক বানিয়ে ফেললেন৷ তারপর তিনিই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে বা অন্য ভাবে প্রচার করে কিছু অ্যামারচার ফটোগ্রাফারের সঙ্গে সেই জায়গাতেই একটা ফটোগ্রাফির ট্রিপ অর্গানাইজ করলেন৷ নামজাদা ক্যামেরা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অর্গানাইজারদের অনেকেই টাইআপ করেন৷
কোম্পানিগুলো দামি ক্যামেরা বা লেন্স দিয়ে ওই অ্যামেচারদের সাহায্য করে৷ বদলে ফিরে এসে তাঁরাই এই কোম্পানিকে নিজেদের তোলা ছবি দেন৷ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকে৷ পুরস্কার হিসাবে অনেক সময়েই থাকে দামি ক্যামেরা বা লেন্স৷ ফলে অ্যামেচার ফটোগ্রাফাররাও উত্সাহ পান এই ধরনের ফটোগ্রাফি ট্রিপে যেতে৷
ভালো ক্যামেরায় ছবি তোলাও হয়, ছবি ভালো হলে পুরস্কার হিসাবে দামি ক্যামেরাও হয়', জানালেন জয়৷ বহু পেশাদার ফটোগ্রাফারই এই ভাবে ভালোই রোজগার করেন বলে তাঁর মত৷ চার-পাঁচ বছর ধরে এই কাজটি পেশাদার ফটোগ্রাফারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে বলেও জানালেন তিনি৷ ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে এখন এই ধরনের কাজের সুযোগ অনেকটাই বেড়েছে এবং আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী৷ এবং এতে রোজগারও বেশি ভালো হতে পারে বলেই তাঁর মত৷- লিখছেন সুমন রায়
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে