এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জাপানে ভূখণ্ড বা সংস্কৃতি, পুরো ভিন্ন আমেজ ছড়িয়ে দেশটিতে। বহির বিশ্বের কোন মানুষ সে দেশের সংস্কৃতি এতো বৈচিত্র্যপূর্ণ তা দেখে তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারেন।
তবে কিছু তথ্য যদি আগে থেকে জেনে নিয়ে জাপানে পা রাখতে পারেন, তবে আপনি অদ্ভুত এক মায়াবি দেশ দেখে আসতে পারবেন। জাপান সম্পর্কে আপনি যা শুনেছেন তার সবকিছু যেমন ঠিক নয়, আবার অনেক কিছুই একেবারে মিথ্যা নয়। নিচের তথ্যগুলো জেনে নিন-
১. জাপানে ভ্রমণের আদর্শ সময় বসন্ত এবং শরৎ। এ সময়ে গাছে গাছে চেরি ফুলে ছেয়ে যাবে।
২. টোকিও বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত একটি শহর। এখানকার হোটেলের খরচ কক্ষের হিসাবে নয়, বরং মানুষ হিসাবে নেওয়া হয়।
৩. টোকিওর হোটেলের খরচ অন্যান্য শহরের তুলনায় মোটামুটি দ্বিগুণ।
৪. বাংলাদেশের এক টাকা জাপানি মুদ্রায় দেড় ইয়েনের সমান।
৫. যদি এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে একটি জাপান রেইল পাস কিনে নিন। এই পাস দিয়ে অনেক শহরে ঘুরতে পারবেন এবং অর্থ সাশ্রয় হবে।
৬. রাস্তা-ঘাটের অধিকাংশ সাইন ইংরেজিতে করা রয়েছে। তবে ট্রেনে উঠলে রেলপথের নানা তথ্য জাপানি ভাষায় পাবেন। সে ক্ষেত্রে ইংরেজিতে একজন স্থানীয় জাপানি আপনাকে খুব বেশি সহায়তা করতে পারবেন না।
খাবারের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই সুশির প্রতি আগ্রহ থাকবে আপনার। টোকিওতে বহু ভারতীয় রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আপনি নিরামিষভোজী হয়ে থাকলে কোনো সমস্যা নেই। দেশীয় খাবারের স্বাদ পাবেন। পাশাপাশি জাপানি খাবারের স্বাদও নিতে পারেন।
যদি মাছ আপনার প্রিয় খাবার হয়, তাহলে তো কথাই নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার দেখতে পারবেন জাপানে। টোকিওর সুপারমার্কেটে সুশির বক্স দেখতে পারবেন।কিয়োমিজু মন্দির
টোকিওর মূল শহর ছাড়াও ওসাকা, হিরোশিমা বা কয়োটো-তে ঘুরে আসতে পারবেন। ১৬ শতকের ওসাকা ক্যাসল হেঁটে হেঁটে দেখতে পারবেন। এর সঙ্গে আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন তো রয়েছেই। কিয়োমিজু মন্দিরে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে কোনো প্রার্থনা সারতে পারেন।
প্রচণ্ড ব্যস্ত এই শহরের লাখ লাখ মানুষ কতটা নিয়মতান্ত্রিক, তা দেখে অবাক হবেন। শিবুয়া-তে দেখতে পারবেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রোড-ক্রসিং। মোট ১৬টি রাস্তা মিলেছে এখানে।
জাপানের সব এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ নয়। হিরোশিমার দিকে কিছুটা স্বস্তি পাবেন। তবে হোটেলের বেডগুলো একেবারে সরু। একটু বেগ পেতে হবে যদি মোটা হয়ে থাকেন।
সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় হলো, কেউ আপনাকে বিরক্ত করবে না। আপনি পুরোপুরি নিরাপদ। ইচ্ছেমতো দেখে-শুনে-বুঝে সময় কাটাতে পারবেন জাপানে। -হিন্দুস্তান টাইমস
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/