এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জেমস ক্যামেরন নির্মিত সবচেয়ে আলোচিত, বিখ্যাত ও ব্যয়বহুল সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম টাইটানিক। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার মূল গল্প গড়ে উঠেছিল বহুল আলোচিত টাইটানিক জাহাজকে কেন্দ্র করে। শতবর্ষ আগে ডুবে যাওয়া সেই টাইটানিক নিয়ে যেনো গবেষণার শেষ নেই। এটির ডুবে যাওয়া নিয়েও চলছে নানা গবেষণা। ডুবে যাওয়া টাইটানিকের এক যাত্রীর লেখা চিঠিতে ডোবার বিবরণ আবার বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয়।
সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজ যখন ডুবে যায় তখনকার ওইসব কাহিনী নিয়ে নাকি লিখেছিলেন এক চিঠি। ওই চিঠিতে আরোহী লিখেছেন সেই দুর্ঘটনার রাতের আতঙ্ক ও বীরত্বের ‘অবিস্মরণীয় দৃশ্যাবলির’ প্রত্যক্ষ কিছু বিবরণের কথা।
সংবাদ মাধ্যম আরও বলেছে, ফরাসি ভাষায় লেখা চিঠিটির প্রেরক ছিলেন রোস অ্যামেলি ইকাহ। তিনি একজন নারী। রোস অ্যামেলি ইকাহ ১৯৫৫ সালের ৮ আগস্ট ওই চিঠি লিখেছিলেন বলে জানানো হয়েছে। অথচ টাইটানিক দুর্ঘটনার তখন ৪৩ বছর পেরিয়ে গেছে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডুবন্ত জাহাজ থেকে বেরিয়ে যাত্রীদের বাঁচার আকুতি, প্রাণপণ চেষ্টার কথা ও ‘চরম আতঙ্ক’ এবং ‘মহিমান্বিত বীরত্বের’ বর্ণনা দিয়ে ওই চিঠির প্রেরক লিখেছেন, দুর্ঘটনার ৪৩ বছর পরও তিনি ওই ঘটনার দুঃস্বপ্ন দেখেন।
রোস অ্যামেলি ইকাহ টাইটানিকের যাত্রী ও বিত্তশালী এক মার্কিন নারী মার্থা স্টোনের পরিচারিকা ছিলেন। মার্থা ও ইকাহ ছোট একটি লাইফবোটে চড়ে কোন মতে প্রাণ বাঁচান। এরপর তারা একটি উদ্ধার-জাহাজে চড়ে নিউইয়র্কে পৌঁছান। সম্ভবত ইকাহ বেঁচে যাওয়া আরেক নারী যাত্রীর মেয়ের উদ্দেশ্যে চিঠিটি লিখেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোস অ্যামেলি ইকাহ তার ওই চিঠিতে জানান, ‘১১টার দিকে মিসেস মার্থা এবং আমি শুয়ে পড়ি। ঘণ্টা খানেক পর, যখন জাহাজটি পূর্ণ গতিতে চলছিল, আকস্মিক এক ধাক্কাতে আমরা বিছানা থেকে পড়ে যাই।’
তিনি লেখেন, নিজেদের সামলে মার্থাকে পোশাক পরতে সহায়তা করেন। তারপর তারা বাইরে বেরিয়ে পড়েন। সেখানে আতঙ্ক ও বীরত্বের সমন্বয়ে ঘটে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা। যা তিনি কখনও ভুলতে পারবেন না।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/