বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫, ০২:৩০:৪৬

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছেন রুথবা

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছেন রুথবা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ‘স্পেস নেশন’-এর মুন পায়োনিয়ার মিশনের প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে চাঁদে পা রাখার দৌড়ে সামনের সারিতে আছেন রুথবা ইয়াসমিন। গত ১৬ এপ্রিল স্পেস নেশন জানায়, তাদের মিশনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সদস্যই নারী এবং রুথবা তাদের একজন। সফল হলে তিনিই হবেন প্রথম বাংলাদেশি ও নারী হিসেবে চাঁদে পা রাখা কেউ।

মহাকাশ আবহাওয়া নিয়ে রুথবার গবেষণা। তিনি ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে ম্যাসাচুসেটসের মাউন্ট হোলিওক কলেজে যান। ২০১৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে ডিগ্রি এবং গণিতে মাইনর শেষ করেন। পরবর্তীতে কোভিডের সময় বাংলাদেশে ফিরে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডেটা সায়েন্সে উচ্চতর ডিগ্রি এবং ২০২৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আলাবামা থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

এই অভিযানে অংশ নেয়া সবাই নারী। তাদের সঙ্গে কেবল একজন পুরুষ। সে দলেই জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের রুথবা।
২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল, আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস নেশন (Space Nation) ঘোষণা দেয় তাদের মিশনের। এই অভিযানে অংশ নেয়া সবাই নারী। তাদের সঙ্গে কেবল একজন পুরুষ। সে দলেই জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের রুথবা।

রুথবার মহাকাশ যাত্রার স্বপ্ন বুনন শুরু হয় শৈশবে। যুক্তরাষ্ট্রে তার গবেষণা থিসিসের বিষয় ছিল স্পেস ওয়েদার বা মহাকাশের আবহাওয়া। বিশেষ করে জিওম্যাগনেটিক ঝড় যা পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারকে প্রভাবিত করে। এই থিসিসই হয়ে ওঠে তার মহাকাশ অভিযাত্রার টার্নিং পয়েন্ট। রুথবা বলেন, ‘আমার ভিতরে এক গভীর আকাঙ্ক্ষা ছিল ফিজিক্স ডিগ্রিকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানোর। সেখান থেকেই শুরু হয় মহাকাশে পা রাখার স্বপ্ন।’ 

স্পেশ নেশনের প্রশিক্ষণে রূথবা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে অংশ নেন। প্রথম রাউন্ডে তিনি ছিলেন Moon Base EVA Specialist। যিনি মক স্পেসস্যুট পরে চাঁদের পৃষ্ঠে অভিযানে অংশ নেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে Mission Control Engineer হিসেবে, Moon Base দলের প্রত্যেক সদস্যকে দূর থেকে নির্দেশনা দিয়ে সফলভাবে নিরাপদে ফেরত আনা ছিল রুথবার কাজ। দুটি পর্বেই দারুণ নৈপুণ্য ও দক্ষতা দেখিয়ে সফল হন রুথবা। এবার চাঁদ তথা মহাকাশে ওঠার পালা।

মহাকাশ ছোয়ার স্বপ্ন দেখা হাজারও বাঙালি তরুণের পথপ্রদর্শক হতে পারেন রুথবা, ‘যারা মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে ভালো ভিত্তি তৈরি করুক। তবে কেবল শিক্ষাগত ডিগ্রিই যথেষ্ট নয়। দরকার কৌতূহল, সাহস, সমস্যা সমাধানে দক্ষতা এবং নিজের স্বকীয়তা। মহাকাশ এখন শুধুই পশ্চিমাদের মাঠ নয় বরং বাংলাদেশ থেকেও সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে