এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শৈশব, কৈশর কে ভুলতে পেরেছেন? মগজের ভিতরে থাকা ছেলেবেলা আজও মাঝে মাঝে কিন্তু ঝিলিক দিয়ে যায়। যা আমাদেরকে সেই ছেলেবেলায় নিয়ে যায়। হাসায়, ভাবায়। আর তখন আপন মনেই বলে উঠি, ইস! যদি সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারতাম!
আপনার ফ্যান্টাসিগুলোকে নিরালায় বসে ঝালাতে ঝালাতে হঠাৎ টনক নড়ে, সেই অমল শৈশব ভরপুর ছিল মিথ্যেয় আর মিথ্যেয়। কিন্তু সেই মিথ্যের মাধুর্য কিছুতেই ভোলা গেল না কিছুতেই। যা আজ মধুর স্মৃতি।
আসুন, কিছুটা নস্ট্যালজিক হয়ে ফিরে দেখা যাক সেই মিথ্যেগুলের কয়েকটাকে।
১। বারো ক্লাসে ভাল রেজাল্ট করতে পারলেই মার দিয়া কেল্লা। তার পরে কেবল এনজয়মেন্ট... বিন্দাস মস্তি। (কিন্তু বারো পেরিয়ে, লেখাপড়ার পাট চুকিয়েও সেই ‘অচ্ছে দিন’-এর দেখা মেলেনি।)
২। নতুন গামছা আঙুলে জড়িয়ে কপালের মধ্যিখানে ১০৮ বার ঘষলে তৃতীয় নয়ন গজায় অথবা ভগবানের দেখা মেলে। (কারোর কারোর তো ডাক্তার পর্যন্ত ডাকতে হয়েছিল।)
৩। পুরনো এক পয়সার কয়েন সরকার ১০০টাকায় এক একটা কিনে নিচ্ছে।
৪। ফলের বিচি গিলে ফেললে পেটে গাছ গজায়।
৫। হাসপাতাল থেকে বাচ্চা কিনে আনতে হয়। নয়তো রাতে বাবা-মায়ের মাঝখানে পরিরা বাচ্চা ফেলে দিয়ে যায়।
৬। ছোট চুল কেটে তোকে কী ভালই না লাগছে! (একান্তভাবেই ছেলেদের জন্যই এই মিথ্যে।)
৭। এক শালিখ দেখলে দিন একেবারে বরবাদ।
কেবল এই সাতটা নয়। আরও অনেক বেশি দীর্ঘ এই ‘মিথ্যে’র তালিকা। আপনি কি কিছু সংযোজন করবেন?
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন