এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : একটি পাথরই সমাধান করে দিল বিজ্ঞানীদের হাজার জিজ্ঞাসার। জিজ্ঞাসা মানুষের অভিবাসন নিয়ে। জিজ্ঞাসা, মানুষ কোথা থেকে সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে ? মানুষের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞানীদের যেমন কৌতূহলের অন্ত নেই তেমনি কোথা থেকে মানুষ কিভাবে পৃথিবীর একস্থান হতে অন্যস্থানে বসতি গড়েছে, তা নিয়েও তাদের কৌতূহলের অন্ত নেই। সেই কৌতূহলের, সেই জিজ্ঞাসারই উত্তর মিলল এক দশমিক দুই মিলিয়ন বছর আগের পুরনো এক পাথরের মাধ্যমে। পাথরটি পাওয়া গেছে তুরস্কের গেদিজ শহরে।
পাথরটিই বহন করছে তুরস্কে প্রাচীন মানুষ কোথা থেকে এসেছে সেই প্রমাণ। আফ্রিকা থেকে প্রাচীন মানুষ তুরস্কে এসেছে। শুধু তুরস্কে নয়, ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবাস গড়েছে কিন্তু মূল আবাস তাদের আফ্রিকা। পাথরটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা; পাথরটি প্রমাণ বহন করছে প্রাচীন মানুষের লালিত সংস্কৃতি, তাদের পুজোঅর্চনা, বুদ্ধিমত্তার বিকাশ সংক্রান্ত নানা বিষয়ের।
এর আগেও তুরস্কে বিভিন্ন প্রত্মতাত্ত্বকি জিনিসপত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু সেগুলো দিয়ে প্রাচীন আদিবাসীরা কোথা থেকে এসেছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা ধারণা করতে পারেনি। কিন্তু রয়েল হলোওয়ে ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডনের প্রত্মতাত্ত্বকি ড্যানিয়েল শ্রেভ ও তার সহকর্মীরা তুরস্কের গেদিজ উপত্যকায় এই পাথরটি পেয়ে এর আইসোটপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বুঝতে পারেন যে, পাথরটি এক দশমিক এক সাত থেকে এক দশমিক দুই চার মিলিয়ন বছরের পুরানো।
এই আবিষ্কার আর সেই সঙ্গে প্রাচীন মানুষের (হোমো ইরেকটাস উপজাতি) আবিষ্কাত কঙ্কাল বিশ্লেষণ করে গবেষক দল এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, আফ্রিকা থেকেই মানুষ তুরস্কে এসেছে। গবেষক দলের এই আবিষ্কার তুরস্কে আদিম মানুষের আগমন আফ্রিকা থেকে হয়েছে, এটা প্রমাণ করলেও সারা বিশ্বেই যে মানুষ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এজন্য আরও গবেষণার দরকার আছে।