শুক্রবার, ০৪ মার্চ, ২০১৬, ১০:০২:৩৯

বাঘ, ভাল্লুক ও সিংহের বিরল বন্ধুত্ব, মুগ্ধ হবেন আপনিও

বাঘ, ভাল্লুক ও সিংহের বিরল বন্ধুত্ব, মুগ্ধ হবেন আপনিও

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাঘ, ভাল্লুক ও সিংহ। তিনই ভয়ঙ্কর হিংস্র প্রাণী। শিকারে ওস্তাদ। তাই একে অপরের শত্রুও বটে। কিন্তু তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হতে পারে! এমনটা চট করে বিশ্বাসই করা যায় না। প্রাণীজগতে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল।

বনের হিংস্র প্রাণীদের মধ্যেও যে বন্ধু হতে পারে তার প্রমাণ দেখাল শের খান, বালো এবং লিও। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া, লুকাস গ্রোভ চিড়িয়াখানার নোয়া’স আর্ক রেসকিউ সেন্টারে এই তিনটি প্রাণী একই পরিবেষ্টনের মধ্যে বসবাস করে।

বালো আমেরিকান প্রজাতির কালো ভাল্লুক, আফ্রিকান প্রজাতির সিংহের নাম লিও এবং বেঙ্গল টাইগার প্রজাতির বাঘের নাম শের খান। ১৫ বছর আগে আটালান্টায় মাদক পাচারকারীর কাছ থেকে পুলিশ যখন এদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তখন এরা একেবারেই শিশু। তখন থেকেই তারা নোয়া’স আর্ক অ্যানিমেল রেসকিউ সেন্টারে রয়েছে।

নোয়া’স আর্কের সহকারী পরিচালক ড্যানি স্মিথ বলেন, আমরা তাদের আলাদা রাখতে পারতাম কিন্তু সে সময় তারা একটি পরিবারের মতো এসেছিল। যে কারণে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের একত্রে রাখারই সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের জানা মতে এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে এই তিনটি হিংস্র পশুকে একত্রে রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রায় এক যুগের বেশি সময় পর্যটকরা এদের বন্ধুত্বের সাক্ষী।

তিনি জানান, বালো আর শের খানের মধ্যে বেশি ভাব। কারণ লিও দিনের বেশিটা সময় ঘুমিয়ে কাটাতেই পছন্দ করে। আবার লিও ঘুম থেকে জাগলে খাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনজন খেলতে থাকে। তারা একে অন্যের প্রতি খুবই সহনশীল আচরণ করে।

বালো, লিও আর শের খান একসঙ্গেই ঘুমায় বলে তাদের থাকার ঘরটি খুবই মজবুত করে তৈরি করা হয়েছে। থাকার ঘরের সঙ্গে একটি চৌবাচ্চার ব্যবস্থাও রয়েছে। কারণ শের খান এবং বালো দুজনই পানিতে নামতে ভালোবাসে। নোয়া’স আর্ক আশ্রয়স্থলে বছরে প্রায় ১০০০ প্রাণীর দেখাশুনা করা হয়।

এই চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটের তথ্যমতে এসব প্রাণীদের খাবার ও স্বাস্থ্যচিকিৎস্যা বাবদ মাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে