এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শেষ। ঠান্ডা ধীরে ধীরে এসে পৌঁছেছে। অনেকেরই এই শীতেই বেশ হি-হি কম্পন অবস্থা। আলমারি থেকে যাবতীয় গরম পোশাক বেরিয়ে গিয়েছে। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, হনুমান টুপি এখন সর্ব ক্ষণের সঙ্গী। যদি মনে করেন ঠান্ডার রূপ এমনই হয়, তবে দ্বিতীয়বার একটু ভাবুন। বিশ্বের সব থেকে ঠান্ডা জায়গায় মানুষ বাঁচে কী ভাবে, একটু দেখে নিন।
রাশিয়ার ওইমিয়াকন বিশ্বের শীতলতম জায়গা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শীতের কয় মাস এখানকার গড় তাপমাত্রা দাঁড়ায় -৬৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস! তবুও এখানকার মানুষ সারা দিন লেপ-কম্বলের নীচে ঢুকে থাকেন না। পেটের তাগিদে বেরোতেই হয়। কী ভাবে কাটে তাঁদের জীবন, দেখে নিন এক নজরে।
১. শীতের দিনে বেশ কয়েকবার চা বা কফি অনেকেই খান। তবে এঁদের সে সৌভাগ্য হয় না। কারণ, আঁচ থেকে নামাতেই নিমেষে তা জমে বরফ হয়ে যাবে। শুধুমাত্র বাঁচার তাগিদে এদের 'উষ্ণ' তরলে গলা ভিজিয়ে যেতে হয়। প্রত্যেককেই সারাদিনে শরীর গরম রাখার জন্য কনিয়্যাক বা ব্র্যান্ডি জাতীয় মদ পান করে যেতে হয়।
২. ১২ ঘণ্টা দিন এবং ১২ ঘণ্টা রাতের ব্যাপার নেই এখানে। সাকুল্যে ঘণ্টা তিনেকের জন্য দিনের আলো থাকে। বাকি সময় সন্ধ্যার আগের আলো-আঁধারি।
৩. সারা ক্ষণ নাক অবধি ঢেকে রাখতে হয়। কারণ একটাই, মুখের ভিতরকার লালা অবধি জমে কাঁটার মতো বিঁধতে পারে। ফলে মুখ বন্ধ।
৪. এখানকার একটা ভালো ব্যাপারও রয়েছে। মাছ-মাংস জাতীয় খাবার বিক্রির জন্য আলাদা করে ফ্রিজার কেনার প্রয়োজন নেই। এমনিতেই সব জমে রয়েছে। তবে হন্য হয়ে খুঁজলেও এক আঁটি শাক বা কোনও সব্জি কোথাও পাবেন না।
৫. বাড়ির ভেতরে জলের ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। গ্রামের কয়েকটি জায়গার গভীর নলকূপের সাহায্যে অতি কষ্ঠে প্রয়োজনীয় জল সংগ্রহ করতে হয়।
৬. রঙ বলতে এখানেই একটাই দেখতে পাবেন। যে দিকে তাকাবেন, শুধুই সাদা।
৭. গাছ-পাতা, সারা প্রকৃতি জমে যায়। বাদ যায় না ট্র্যাফিক লাইটও। অধিকাংশ সময় তা জমে বিকল হয়ে পড়ে।