এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিশ্বে বিভিন্ন সময় ইঁদুরকে গিনিপিগ বানিয়ে আবিষ্কার করা হয় মানবদেহের নানা ওষুধ। কিন্তু এবার ব্যবহার করা হবে বিস্ফোরক খোঁজার কাজে। ঘটনাটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি এমন খবর দিয়েছে মেইল অনলাইন।
নিরাপত্তা নিয়ে দেশে দেশে উদ্বেগের শেষ নেই। নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যয় করা হচ্ছে শত শত কোটি টাকা, আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম। এমনকি সন্ত্রাস দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে কুকুর।
পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণও মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রাণিকূলের মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্ত কুকুর।
কোথাও বোমা হামলা হলে, মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানে এমনকি দুর্ঘটনার পর কুকুর দল (ডগ স্কোয়াড) নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য টেলিভিশনের খবরে বা বাস্তবে দেখা যায়।
কুকুরের পারদর্শিতার ব্যাপারেও আমরা আস্থাশীল; তবে ইসরাইলের একটি প্রতিষ্ঠান শোনাচ্ছে নতুন কথা। তারা নিরাপত্তা এবং উদ্ধারকাজে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইঁদুরকে।
প্রশিক্ষণ পাওয়া এসব ইঁদুর বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য কিংবা
সন্দেহজনক কোনো বস্তুর অস্তিত্বের প্রমাণ পেলে সংকেত দেবে নিরাপত্তা প্রহরীকে। নিরাপত্তা রক্ষায় রাখবে বড় ভূমিকা।
ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের পরিচালিত নিরাপত্তা কোম্পানি টামার গ্রুপ বলছে, তাদের এ পদ্ধতি একদিন নিরাপত্তা রক্ষায় বর্তমান কর্মধারা পাল্টে দিতে পারে।
গ্রুপের সিইও বোয়াজ হায়োন বলেন, তাদের পদ্ধতির নাম বায়ো এক্সপ্লোরার। প্রশিক্ষণ দেয়া ইঁদুরগুলোর দেহে থাকবে সেন্সর। বিস্ফোরক বা মাদকদ্রব্যের কাছে গেলে ইঁদুরের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে পরিবর্তন ঘটবে।
তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের সংকেত সেন্সরের মাধ্যমে চলে যাবে কম্পিউটারে। কম্পিউটার এসব বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সংকেত দেবে আবার নিরাপত্তা প্রহরীদের। নিরাপত্তা প্রহরীরা সংকেত পেয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।