এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জিন্স প্যান্টের সামনের ডানদিকের বড় পকেটের ওপরের অংশে একটি ছোট্ট পকেট। সংগৃহীত ছবি
আমাদের নিত্যদিনের পোশাকের তালিকায় জিন্স প্যান্ট অন্যতম। ফ্যাশন সচেতন মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ শ্রমজীবী—সবার কাছেই এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কেউ কেউ জিন্স ব্যবহার না করলেও প্যান্টের পকেট জিন্স স্টাইলে দিয়ে থাকেন।
যে বিষয়টি খেয়াল করার তা হচ্ছে, জিন্স প্যান্টের সামনের ডানদিকের বড় পকেটের ওপরের অংশে একটি ছোট্ট পকেট।
ব্যবহারের দিক থেকে এটি খুবই ছোট হওয়ায় অনেকে এতে খুচরা পয়সা বা ছোটখাটো জিনিস রাখেন। একে সাধারণত ‘কয়েন পকেট’ বলা হলেও এর আসল ইতিহাস কিন্তু অন্য কিছু।
এই পকেটের রহস্য লুকিয়ে আছে আঠারো শতকের পাশ্চাত্যের ইতিহাসের পাতায়। তখনকার সময়ে রাখাল বা ‘কাউ বয়’দের মধ্যে জিন্স প্যান্ট পরার ব্যাপক প্রচলন ছিল।
সেই সময়ে এখনকার মতো রিস্টওয়াচ বা হাতের ঘড়ির চল ছিল না, বরং চেইন দেওয়া পকেট ঘড়ির জয়জয়কার ছিল।
কাউ বয়রা সাধারণত এই পকেট ঘড়িগুলো তাদের ওয়েস্টকোটে রাখতেন। কিন্তু কাজ করার সময় বা ঘোড়ায় চড়ার সময় ওয়েস্টকোটের ঘড়িটি প্রায়ই ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকতো। ঘড়িকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভাঙন থেকে রক্ষা করতে এবং সুরক্ষিত রাখতে সে সময়ে জিন্সের প্যান্টে বিশেষ একটি পকেট যুক্ত করা হয়। কোমরের বেল্টের সঙ্গে চেইন ঝুলিয়ে ছোট্ট এই পকেটে ঘড়ি রাখলে তা বেশ আঁটসাঁট অবস্থায় থাকতো এবং দৌড়ঝাঁপ করলেও ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকতো না।
সময়ের বিবর্তনে পকেট ঘড়ির বদলে এখন মানুষের হাতে স্মার্টওয়াচ বা পকেটে স্মার্টফোন জায়গা করে নিয়েছে। ঘড়ির সেই পুরনো ঐতিহ্য প্রায় হারিয়ে গেলেও জিন্স প্যান্টের ডিজাইনে এখনো সেই ছোট্ট পকেটটি রয়ে গেছে।
মূলত ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবেই বর্তমান সময়ের আধুনিক জিন্সেও এই পকেটটি রাখা হয়, যা আমাদের শতবর্ষ পুরনো এক অভ্যাসের কথা মনে করিয়ে দেয়।