এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কোথাও চাকরির জন্য আবেদন করা মানে নিজেকে উপস্থাপন করা। উপস্থাপনায় কোনো ভুল থাকলে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। এ লেখায় দেয়া হলো এমন পাঁচটি ভুল। চাকরিপ্রার্থীদের এ পাঁচটি ভুল করা মানে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা। তাই প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীরই ভুলগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত।
সঠিকভাবে সিভি তৈরি না করা : কোনো প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট একটি পদে চাকরির জন্য আবেদন করে নিজেকে যোগ্য প্রমাণের জন্য আপনার জীবন বৃত্তান্ত সে পদের উপযুক্ত করে সাজিয়ে নেয়া উচিত। আপনি জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন, অনেক প্রশিক্ষণ বা চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। কিন্তু তার সবগুলো একটা নির্দিষ্ট পদের জন্য দরকারি নাও হতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনার সিভিতে অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সংযোজন করতে হবে। এ কাজে ভুল হলে আপনার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
চাকরিদাতাকে অবজ্ঞা করা : চাকরির আবেদন করা মানে আপনি নিয়োগকর্তা ঘোষিত নির্দিষ্ট এক পদে কাজ করতে আগ্রহী। এখানে তাদের চাহিদাই মূলকথা। আপনি তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন কিনা, সেটাই তারা দেখবে। কিন্তু নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে আসা অসংখ্য চাকরির আবেদনে দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থীরা শুধু নিজের কথাই লিখে রাখে।
যদিও সিভি কিংবা সংযুক্ত আবেদনপত্রে আপনার বোঝাতে হবে যে, তাদের চাহিদা আপনি ঠিক কিভাবে পূরণ করতে পারবেন। এ বিষয়টি বোঝাতে না পারলে আপনার হাজারটা যোগ্যতার কথা লিখলেও চাকরিদাতা তাতে আগ্রহী হবে না।
ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি না থাকা : কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউয়ের জন্য গিয়ে আপনি বলতে পারবেন না যে, আপনাদের প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস সম্পর্কে আমাকে কিছু জানান। আপনাকেই নিজ দায়িত্বে এ বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। জানা থাকতে হবে আপনার আবেদনকৃত বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য। এছাড়া সাধারণ জ্ঞানও থাকতে হবে যথেষ্ট পরিমাণে।
কথা না রাখা : অনেক নিয়োগদাতাই চাকরিপ্রার্থী তার কথা রাখে কিনা, তা লক্ষ্য করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিইও তাদের চাকরিপ্রার্থীদের কোনো একটি কাজ, ফাইল বা তথ্য পরবর্তী কোনো সময়ে এসে জমা দিয়ে যেতে বলেন। অনেকে কোনো একটি অনুরোধও করেন, যা নির্দিষ্ট সময়ে চাকরিপ্রার্থী সাড়া দেয় কিনা, তা লক্ষ্য করা হয়। এক্ষেত্রে কথা রাখতে না পারলে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
অসতর্ক আবেদন : চাকরির আবেদন করা মানে আপনার প্রতিটা পর্যায়ে সতর্কতার সঙ্গে পার হতে হবে। দিন দিন চাকরিদাতারা নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় সতর্ক হয়ে উঠছে। কোথাও সিভি দেওয়া মানেই আপনার চাকরির সম্ভাবনা বাড়া নয়।
চাকরিদাতার চাওয়া অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতাগুলো আপনার সঙ্গে মিলছে কিনা, তা দেখে নিন। এরপর চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত সিভি তৈরি করুন। কোনো একটি সাধারণ ভুলের কারণে সব চাকরি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে কি না, তা লক্ষ্য করুন। অগোছালো অসংখ্য আবেদনের তুলনায় পরিশ্রম করে অল্প আবেদনও এক্ষেত্রে ভালো।