এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রাত পোহালেই উদ্বোধন৷জমিয়ে চলছে ‘জগিং'৷ ‘ফিট' থাকতে সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাহাঁটি৷ সময়মতো খাওয়া-দাওয়া৷ শীতের রোদ গায়ে মেখে বিশ্রাম৷কখনো আবার খুনসুটি৷
রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের সামনে দেহ প্রদর্শনের জন্য ‘জোড়া' বাঘের এটাই এখন নিত্যদিনের রুটিন! সেটা দেখতেই পুনর্বাসন কেন্দ্রের ফাঁক গলে উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়৷
সুন্দরবনের ঝড়খালিতে প্রজাপতি বাগান লাগোয়া সাত বিঘা জমিজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্র৷ বৃদ্ধ এবং অসুস্হ ‘বিগ ক্যাট'-দের এ কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷
সোমবার যার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বর্তমানে কেন্দ্রে দু'টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে৷ যার মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ, অন্যটি বাঘিনী৷
সুন্দরবনের জঙ্গলে বনকর্মীদের পাতা ফাঁদে ধরা পড়েছিল দু'জনেই৷ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, উদ্বোধনের আগেই ওই কেন্দ্র লাগোয়া প্রজাপতি বাগান থেকে বাঘের ‘কীর্তিকলাপ' দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা৷
বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রজাপতি বাগানের প্রবেশমূল্য ১০ টাকা৷ এ বাগানের বেশ কয়েকটি অংশ থেকে পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাঘ স্পষ্ট দেখা যায়৷শীত পড়ায় পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন ওই বাগানে৷
ফলে বাগানের ফাঁক গলে জোড়া বাঘের শরীরচর্চার সাক্ষী হচ্ছেন তারা৷ শুধু বাঘের পুনর্বাসনকেন্দ্রই নয়, ঝড়খালিতে মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে৷
বন দফতর এবং রাজ্যের জু অথরিটি সূত্রে খবর, সুন্দরবনের জলহাওয়া এবং পরিবেশের সঙ্গে পর্যটকদের পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই মিনি চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্য৷ তাই ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হবে বাঁদর, ভোঁদড় এবং কুমিরের মতো ম্যানগ্রোভ এবং নোনা জলের প্রাণী৷
নৌকায় করে পর্যটকদের ঝড়খালি এবং হোড়োভাঙা খাল সংলগ্ন ওই কেন্দ্রে মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে৷ নৌকা থেকেই কৃত্রিম জঙ্গলে পশুদের অবাধ বিচরণ প্রত্যক্ষ করতে পারবেন তারা৷পুনর্বাসন কেন্দ্রের মধ্যেই তৈরি হবে পশু হাসপাতাল৷
জেলার বনাধিকারিক লিপিকা রায় জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ প্রকল্পটি নিয়ে রাজ্যের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ অন্যদিকে চিড়িয়াখানার এক আধিকারিকের কথায়, পুরো বিষয়টি অনুমোদন করার জন্য কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন৷ দিল্লি থেকে সবুজ সঙ্কেত এলেই ওই কেন্দ্রে কোন কোন প্রাণী রাখা হবে তা চূড়ান্ত করা হবে৷