এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে কম জনসংখ্যা এই দেশটাতে। মাত্র ৫৬ জন থাকেন। মূল ভূখণ্ড থেকে বহু বহু দূরে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নিরালা-নির্জনে এই দেশ। জানতেন কি এমন একটা দেশের কথা। জেনে নিন এই দেশ সম্পর্কে অজানা আরও কিছু কথা:
১. পৃথিবীর সবচেয়ে কম জনবসতি এই দেশটাতে। নাম পিটকার্ন আইল্যান্ডস। জনসংখ্যা
মাত্র ৫৬। রাজধানী অ্যাডামস টাউনে এই বাড়িটিই হল প্রশাসনিক ভবন।
২. ছবিতে যে ক’জনকে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের নিয়েই দেশ। চারটি দ্বীপ নিয়ে দেশটা। মোট বাসিন্দা এই ৫৬ জন।
৩. এই হল পিটকার্নের জাতীয় পতাকা। ব্রিটেনের অভিভাবকত্বে পিটাকার্ন আইল্যান্ডসের
প্রশাসন চলে। তাই উপরের বাঁ দিকের কোণায় ব্রিটেনের পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক।
৪. দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে পিটকার্ন আইল্যান্ডসের অবস্থান। সবচেয়ে কাছের দেশ নিউজিল্যান্ড। তাই পিটকার্নে চিঠি পৌঁছয় নিউজিল্যান্ড ঘুরে।
৫. আগ্নেয় শিলায় তৈরি চারটি দ্বীপ নিয়ে এই দেশ গঠিত। পিটকার্ন, হেন্ডারসন, ডুসি এবং ওয়েনো। এর মধ্যে শুধুমাত্র পিটকার্নেই বসতি রয়েছে। বাকি তিনটি দ্বীপ পাণ্ডব বর্জিত। পিটকার্ন
মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা একটি দ্বীপ।
৬. দ্বীপগুলির বেশিরভাগ এলাকাই জঙ্গলে ঢাকা। পাহাড়, জঙ্গল আর সমুদ্র নিয়ে পিটকার্নের প্রকৃতি অপরূপ।
৭. ২০১০ সালে পিটকার্নের জনসংখ্যা ছিল ৪৫। ২০১৩ সালের জনগনণায় দেখা যায় তা একটু বেড়ে ৫৬ হয়েছে।
৮. ১৭৮৯ সালে পিটকার্ন আইল্যান্ডসে জনবসতি গড়ে ওঠে। এক দল ব্রিটিশ বিদ্রোহী সে বছর এই দ্বীপে আশ্রয় নেন।
৯. ব্রিটিশ নৌসেনার এক দল সৈনিক তাহিতি যাওয়ার পথে বিদ্রোহ করেছিল। জাহাজের
ক্যাপ্টেনকে ছোট লঞ্চে চড়িয়ে জাহাজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্রোহীরা জাহাজের দখল নিয়ে তাহিতি পৌঁছন। পরে ব্রিটিশ প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে তাহিতি ছেড়ে তারা পিটকার্ন চলে যান।
১০. তাহিতি থেকে ব্রিটিশ বিদ্রোহীরা যখন পিটকার্ন যাচ্ছিলেন, তখন তাহিতির কিছু মানুষও তাদের সঙ্গে যান। সেই ব্রিটিশ বিদ্রোহী এবং তাঁদের সঙ্গী তাহিতিয়ানদের বংশধররাই এখন পিটকার্নের বাসিন্দা।
১১. জাতিসংঘ মনে করে, পিটকার্ন আইল্যান্ডস স্বশাসিত রাষ্ট্র হতে পারে না। তাই এই
দেশের প্রশাসনকে দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে ব্রিটেনের উপর।
১২. এখন যে ক’জন মানুষ পিটকার্নে থাকেন, তারা মূলত চারটি পরিবারের সদস্য। সূত্র : এবিপি
১১ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস