এক্সক্লুসিভ ডেস্ক :খুব শিঘগিরই আবারও চালু হচ্ছে ইউরোপের শয়তানের দ্বীপ নামে খ্যাত প্যাপিলন কারাগার। সম্প্রতি ফরাসি এক নেতৃস্থানীয় রাজনীতিবিদ পুনরায় এই কারাগারটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনার কথা ব্যাক্ত করেন। বিশ্বের সকল জিহাদিদের সংশোধনের জন্য এই দ্বীপটি খোলা হচ্ছে। নিকোলাস দুপন্ত আগনন নামের এই রাজনীতিবিদ ২০১২ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন। ইসলামিক স্টেট এবং আলকায়েদার গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদিদের এই কারাগারে অন্তরীন করার ব্যাপারে তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ছোট্টো একটি দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত এই প্যাপিলন কারাগারটির সূচনা হয় উনিশ শতকের দিকে। যখন ফরাসি সেনা অফিসার আলফ্রেড ড্রেফুজ এই দ্বীপটিতে সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন বিপক্ষ শিবিরের নৌ-বহরকে আক্রমন করার জন্য। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দ্বীপটিকে কুখ্যাত অপরাধীদের অন্তরীন করার কাজে ব্যবহার করা হতো। তবে ফ্রান্সের আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে ১৯৫৩ সালে কারাগারটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও পরিবেশগত কারণেও কারাগারটি কয়েদিদের জন্য উপযুক্ত নয়।
তবে নিকোলাসের এই প্রস্তাবের পক্ষে যেমন আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট সারকোজি তেমনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলেও অনেকেই আছেন। যারা মনে করেন ফ্রান্স থেকে বর্হিদেশে যুদ্ধ করতে যাওয়া যোদ্ধারা দেশে ফেরত আসলে তাদের এই কারাগারে যাবজ্জীবন অন্তরীন করে রাখা উচিত। তবে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের সরকারের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়া হয়নি। তবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই ধারণা করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সরকার এবিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে পারে।
এদিকে ব্রিটেনের গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান জন ওয়াকার বলেন, ‘যদি ফ্রান্স জিহাদি বা অপরাধীদের সম্পূর্ণ আলাদা করে দিতে চায় তাহলে তাদের উচিত হবে অপরাধীদের সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। কারণ আপনি জানেন না যে তাদের কতটুকু ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে এবং তারা কি শিখেছে। কিন্তু শয়তানের দ্বীপ পুনরায় উন্মুক্ত করা মানে ঝুঁকি বৃদ্ধি করা।’ কিন্তু ব্রিটেনেরই সাবেক সন্ত্রাস বিষয়ক গবেষক লর্ড চার্লি কিউসি বলেন, ‘এটা ডানপন্থী দলের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে এর দায়-দায়িত্ব কেউ নেবে না।’