এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবীকে স্বর্গ বলা ঠিক হবে না। তবে পৃথিবীর নানা স্থাপনা দিয়ে ধারনা করা যায় যে স্বর্গ তুমি কতনা সুন্দর! মহাকাশ নয় পৃথিবীতেই রয়েছে এমন অনেক কিছু যে দিকে দৃষ্টি গেলে হৃদয় নাড়িত হয় বারবার। কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিটেট’ ২০১৪ সালের ‘বেস্ট টল বিল্ডিংস ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেছে৷ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ভবন ও নয়নাভিরাম ভবনগুলো নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
১. কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিটেট’ ২০১৪ সালের ‘বেস্ট টল বিল্ডিংস ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেছে৷ এই তালিকায় সবার উপরে নাম আছে সিডনির এই ভবনটির৷ নাম ‘ওয়ান সেন্ট্রাল পার্ক’৷ ২০১৩ সালে নির্মিত এই ভবনের উচ্চতা ১১৬ মিটার৷ সূর্যের আলো প্রতিফলনের জন্য বসানো প্যানেল থেকে ভবনের রুমগুলো গরম হয়ে থাকে৷
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সবুজ ভবন
২. ‘অ্যামেরিকাস’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডের ‘এডিথ গ্রিন-ওয়েনডেল ওয়াট ফেডারেল বিল্ডিং’ নামের এই সরকারি ভবনটি৷ ১১০ মিটার উঁচু এই ভবনটিই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ী বিল্ডিং৷
৩.হল্যান্ডের রটারডাম শহরে অবস্থিত ‘ডে রটারডাম’ নামের ভবনটি দেখলে মনে হতে পারে সেখানে পৃথক আটটি টাওয়ার আছে৷ কিন্তু না৷ এটি একটিই বিল্ডিং৷ ২০১৩ সালে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া এই ভবনের উচ্চতা ১৫১ মিটার৷ এতে আছে রেস্তরাঁ, অ্যাপার্টমেন্ট আর হোটেল৷
৪.‘কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিটেট’ ২০১৪ সালের ‘বেস্ট টল বিল্ডিংস ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেছে৷ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ভবন ছাড়াও আরও কয়েকটি বিল্ডিং নিয়ে সাজানো হয়েছে ছবিঘর৷
৫.৩০৬ মিটার দীর্ঘ ‘কায়ান টাওয়ার’টি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বাঁকানো (টুইস্টেড) ভবন৷ এর বিশেষত্ব হলো, এই ভবনের একটি তলা তার নীচের তলা থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ১.২ ডিগ্রি বেঁকে উপরে উঠে গেছে৷ এভাবে পুরো ভবনটি উপরে উঠতে উঠতে ৯০ ডিগ্রি হেলে গেছে৷
৬.এটি বন শহরে অবস্থিত জার্মানির ডাক বিভাগের সদর দপ্তর ‘ডয়চে পোস্ট ডিএইচএল’৷ ২০০২ সালে নির্মিত ভবনটি বিশ্বের কম-জ্বালানি ব্যবহার করা কয়েকটি ভবনের একটি৷
৭. দক্ষিণ অ্যামেরিকার সবচেয়ে উঁচু ভবন চিলিতে। রাজধানীতে ২০১৪ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয় এই ভবনটির৷ ৩০০ মিটার উঁচু বিল্ডিংটির নাম ‘গ্রান টোরে সান্টিয়াগো’৷
২০১৩ সালের বিজয়ী ‘কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিটেট’ উঁচু ভবনের যে তালিকা করে তাতে ২০১৩ সালে সেরা মনোনীত হয়েছিল ‘চায়না সেন্টাল টেলিভিশন’-এর এই সদর দপ্তরটি৷ বিল্ডিংটিতে যে দুটো স্তম্ভ দেখা যাচ্ছে তার একটিতে রয়েছে সম্প্রচার অফিস, অন্যটিতে অন্যান্য সেবা৷ আর সবার ওপরে আছে টেলিভিশন চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অফিস৷