এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সদ্য সদ্য কারও প্রেমে পড়েছেন, আর তার পরই জীবনে পাল্টে গিয়েছে সব। এক্কেবারে যেন 'তুনে মারি এন্ট্রিয়া তো দিল মে বাজি ঘণ্টিয়া...'। অর্থাত্ ক্রাশের পরই পাল্টে গিয়েছে আপনার ব্যবহার, চিন্তা-ভাবনা সবই। অনুভব করছেন, এ সময় এমন অনেক কিছুই করছেন যা কখনও করতেন না। হঠাত্ লজ্জায় গাল লাল হয়ে যাচ্ছে, ভালোবাসার গভীর অনুভূতিতে মন ডগমগ করছে, এমনকি শুধু তাঁর মুখটুকু চোখের সামনে ভেসে উঠলেই হেসে ফেলছেন! আবার সে আশপাশে থাকলে সবকাজই গোলমাল হচ্ছে, আর হবে না-ই বা কেন মনোযোগ তো তাঁর ওপরই কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
কিন্তু কখনো ভেবেছেন, ভালো লাগার মানুষটির সামনে যা করা স্বাভাবিক মনে হয়, তা অন্য কারও সামনে রোজ রোজ করলে আপনাকেই সমস্যায় পড়েত হবে।
জেনে নিন ক্রাশের পর কোন কোন আচরণ বন্ধুদের সামনে আপনার ভাবমূর্তি পাল্টে ফেলতে পারে--
১. ভালো লাগার মানুষটিকে সামনে পেয়েই জগত্ ভুলে শুধু তাকেই দেখে চলেছেন। এই একই কাণ্ড অন্য কারও ক্ষেত্রে ঘটিয়ে দেখুন, কী হয়।
২. তার নাম কানে এলেই মুখে হাসি ফুটে যায়। কিন্তু ৫ জনের সঙ্গে বসে রয়েছেন এবং আপনার গাল হঠাত্ গোলাপি হয়ে গিয়েছে, তা হলে লোকে ভাববে আপনি কোনও সমস্যায় পড়েছেন।
৩. স্পেশ্যাল সামওয়ানের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই গলার স্বর পাল্টে গিয়েছে। গলা দিয়ে হঠাত্ বাচ্চাদের মতো মিষ্টি আওয়াজ বের হচ্ছে। কিন্তু বন্ধুদের সামনে যদি সেই শিশুসুলভ স্বরে কথা বলেন, তা হলে তাঁদের মুডের এক্কেবারে বারোটা বেজে যাবে।
৪. ফোনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আর ভাবছেন, তাকে কী মেসেজ করা উচিত? এত সময় কী অন্য কাউকে টেক্সট করতে লাগিয়েছেন?
৫. কাঙ্খিত মানুষটি আশপাশে থাকলেই নার্ভাস হয়ে পড়ছেন। কিন্তু অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই সব জড়িয়ে যাচ্ছে এবং বোকা বোকা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলছেন!
৬. ভালো লাগার মানুষের জীবনে কী ঘটছে, তা জানার সহজ উপায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল। তাই ঘণ্টায় ঘণ্টায় তাঁর প্রোফাইল চেক করছেন। এটা কী অন্য কারও ক্ষেত্রে করেন? না। এমনকি আপনার যে পোষা কুকুরটির নামে সখ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ক্রিয়েট করেছিলেন, তার ক্ষেত্রেও করবেন না।
৭. আপনিও সেই পারফিউম বা ডিও ব্যবহার করতে শুরু করেছেন, যা তার পছন্দ। এবার ভেবে দেখুন, অন্য কোনও ব্যক্তির শরীরেও সেই একই সুগন্ধ, জানতে পারলেই আপনি সঙ্গে সঙ্গে সেই পারফিউম ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবেন।
৮. তাদের পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী নিজের পছন্দ-অপছন্দ গড়ে তুলছেন। কিন্তু যদি জানতে পারেন, আপনার পছন্দ বা অপছন্দের জিনিসটি অন্য কারওর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, তা কিন্তু আপনার ভালো লাগবে না।
৯. কাঙ্খিত ব্যক্তিটিকে একবার দেখতে তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার অজুহাত খুঁজতে থাকেন। কিন্তু তার পড়শিরা যদি দেখেন রোজ একটি নির্দিষ্ট গাড়ি তাঁদের পাড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঘোরাফেরা করছে, তা কিন্তু তাদের এক্কেবারেই ভালো লাগবে না।
১০. অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে ভালো লাগার মানুষটির জন্মদিন পালন করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে মর্মাহত হবে আপনার আদরের সারমেয়টি। কারণ এতদিন সে মনে করে এসেছে যে, সে-ই পৃথিবীতে একমাত্র জীব, যার জন্মদিন আপনি এত ভালোবাসার সঙ্গে পালন করতেন।
১১. কাঙ্খিত ব্যক্তিটির গলার স্বর শোনার জন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলার অজুহাত খুঁজতে থাকেন। তবে স্বাভাবিক ভাবে আপনি যদি প্রতি ২ মিনিট অন্তর ক্যান্টিনের ছেলেটির সঙ্গে কথা বলতে যান, তা হলে সে নিজের শিফ্ট অন্য কারও ঘাড়ে চাপিয়ে কেটে পড়বে।
১২. ভালো লাগার মানুষটির সামনে নিজেকে বুদ্ধিমান দেখানোর সমস্ত চেষ্টা করে ফেলেছেন। কিন্তু বলা নেই, কথা নেই নিজের বন্ধুদের সামনে যদি বড় কোনও বুদ্ধিদীপ্ত শব্দ ব্যবহার করেন, তাঁরা কিন্তু নিজের হাসি আটকাতে পারবেন না।
১৩. আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তি যদি ইতোমধ্যেই কারও সঙ্গে বৈধ সম্পর্কে যুক্ত থাকেন, তা হলে সেই সঙ্গীর সঙ্গে দেখা হলে 'ভস্ম করে দেওয়া' দৃষ্টি হানাই দস্তুর। এতেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনে যথেষ্ট ভীতির সঞ্চার হবে।
১৪. স্পেশ্যাল সামওয়ানের সমস্ত খুঁটিনাটি আপনার নখদর্পণে। কিন্তু এমন করলে আপনার অনেক বন্ধুই অপমানিত বোধ করতে পারেন। কারণ, তাঁরা গত ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে কী পড়েছিল তা আপনার যথারীতি মনে থাকবে না।
যদিও, এই ১৪টির মধ্যে অধিকাংশ আচরণই এড়ানো যাবে না, তবুও ক্রাশের পর আপনার গাল লজ্জায় লাল হলে মনে রাখবেন, অন্যেরা আপনার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। এই কথা ভাবলেই আপনি স্বাভাবিক ব্যবহার করতে পারবেন।