এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : খুব লজ্জা পেলেন কোথাও। জিভকাটা ধরনের লজ্জা। অথবা কোথাও খুব অপমানিত হলেন। মাথার ভেতর সেই ধাক্কা নিয়ে সারাদিন কাটালেন। স্বস্তি নেই কোনো কিছুতে। ছিঃ ছিঃ, এ কী করলেন, ভাবছেন আপনি। আমাদের পরামর্শ, যা গেছে তা তো গেছেই। তা নিয়ে আর কেন নিজের প্রতিদিনকার স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছেন?
দশটি পরমর্শ যদি মাথায় রাখতে পারেন, তবে নিজেকে লজ্জা ও অপমানের ভারবোধ থেকে উতরে নিয়ে যেতে পারবেন। আসুন তবে, জেনে নিই দশটি পরামর্শ।
১. প্রথমেই জেনে রাখুন, আপনি একা নন। জীবনের যে ক্ষেত্রেই লজ্জা বা অপমানের শিকার হয়ে থাকুন না কেন, এটা মনে রাখবেন যে আপনি প্রথম ব্যক্তি নন যিনি এই অবস্থার মাঝ দিয়ে গিয়েছেন। উদাহরণ হিসাবে বিখ্যাত মানুষদের দিকে দেখতে পারেন, যারা কিনা নানান অপমান ও লজ্জা কাটিয়ে আবার মাথা উঁচু করে বেঁচে আছেন।
২. কখনোই দমে যাবেন না, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন। একটা জিনিস মনে রাখবেন, লজা ও অপমানে দমে গেলেন তো হেরে গেলেন। যেমন ধরুন, অফিসে কিছু নিয়ে চরম অপমানিত হয়েছেন। এমন অবস্থায় যদি অফিসে যাওয়া ছেড়ে দেন, তাহলে সকলে এটাই ধরে নেবে যে এমন অপমানিত হওয়ার যোগ্য।
৩. যে শিক্ষা পেয়েছেন, সেটা কিছুতেই ভুলে যাবেন না। শত্রু-মিত্র যাদেরকে চিনে নিয়েছেন, সে চেহারা গুলোও ভুলে যাবেন না একেবারেই।
৪. সবকিছুকে খুব বেশি ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। এটা জানবেন যে পৃথিবীতে সবাই সবকিছু পারেন না, পৃথিবীতে সবকিছু সবার জন্য নয়। অফিসে ব্যর্থ হয়েছেন বলে লজ্জিত? জানবেন যে সেই কাজটি আপনার জন্য নয় কিংবা আরও কয়েকবার চেষ্টা করলে আপনি নিশ্চয়ই কাজটি পারবেন।
৫. যদি এমন কাউকে খুঁজে পান, যিনি একই পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে গিয়েছেন, তাহলে অবশসই তাঁদের সাথে অন্তরঙ্গতা বাড়ান। তাঁরা কীভাবে বিষয়টির মোকাবেলা করেছেন, সেই ব্যাপারটি আপনাকেও খুব হেল্প করবে। এমন কাউকে না পেলে পেশাদার কাউন্সিলারের সাহায্য নিতে পারেন।
৬. নিজের পছন্দের সকল কাজের সাথে যুক্ত থাকুন । শখ গুলোকে মূল্য দিন। পছন্দের মানুষদের সাথে মেলামেশা করুন যারা আপনাকে এই প্রসঙ্গে কিছু মনে করাবে না।
৭. প্রতিশোধ নিতে যাওয়ার আগে দুবার ভাবুন। এই প্রতিশোধ আপনাকে কিছু দেবেন না, বরং রাগের মাথায় আপনি এমন কিছু করে বসবেন যাতে হয়তো আপনার ঝামেলা আরও বাড়বে। বরং এই সময়টা নিজের কাজের দিকে মন দিন। প্রতিশোধ যদি একান্তই নিতে হয়, তবে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করুন। পুরো জীবন পড়ে আছে।
৮. কাজ থেকে বিশ্রাম নেবেন মানে লুকিয়ে থাকবেন না। সবার চোখের আড়ালে একা একা অশ্রু বিসর্জন আপনার কোনই উপকার করবে না। জোর করে নিজেকে সাহস যোগান আমার সমাজের সামনে যাওয়ার জন্য।
৯. ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা কখনো বন্ধ করবেন না। কী করা যেতে পারে, কী করলে ভালো হবে, কীভাবে আরও সফল ও সুখী হতে পারেন সেই প্ল্যান করুন। মনের মাঝে নতুন উদ্দীপনা খুঁজে পাবেন।
১০. এমন মানুষদের সাথে বেশি মেলামেশা করুন যাদের চোখে আপনি সেরা এবং তাঁরা আপনার অনেক প্রশংসা করে। প্রয়োজনে নতুন বন্ধু বানান যারা এই লজ্জা ও অপমান বিষয়ে কিছুই জানেন না। প্রশংসা ও উষ্ণ সম্পর্কে আপনাকে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলিয়ে দেবে।