এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ব্রিস্টলের পথে রমরমিয়ে ছুটছে 'পু বাস' বা 'বায়োবাস'। কী এই পু বাস? মানুষের বর্জ্য এবং ফেলে দেওয়া খাবার থেকে সংগৃহীত বায়োমিথেন গ্যাসই এই বাসের চালিকাশক্তি। আবার প্রয়োজনে বাসে বসেই কাজ সারা যাবে।
বাথ বাস কোম্পানির ৪০ আসনবিশিষ্ট বাসটি প্রথম পর্যায়ে চলছে ব্রিস্টল থেকে বাথ পর্যন্ত। জনপ্রিয়তা লাভ করলে শীঘ্র অন্যান্য রুটেও ছুটতে দেখা যাবে এই বাসটিকে। অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ ও কার্বন নিঃসরণ আটকাতে এহেন চিন্তাভাবনা। মানুষের বর্জ্য থেকে গ্যাস নিঃসরণ করবে জেনইকো নামে এক সংস্থা।
জেনইকোর জেনারেল ম্যানেজার মহম্মদ সাদিক বলেন, 'ইংল্যান্ডের শহরগুলির নির্মল বাতাসের জন্য গ্যাসচালিত গাড়ির প্রয়োজনীয়। তবে বায়োবাস এর চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিচ্ছে। স্থানীয় জনতার বর্জ্য দিয়েই চলছে এই বাস। উপরন্তু বাসে বসেও কাজাটা সারা যাবে।' আবার বাথ বাস কোম্পানি র কলিন ফিল্ডের আশা, আগামী বছরের মধ্যেই ইওরোপের সবুজ রাজধানী হবে ব্রিস্টল।
পরিবেশবান্ধব এই বাসটি এক ট্যাংক বায়োমিথেনগ্যাস (যা মানুষের বর্জ্য থেকে তৈরি হবে) দিয়ে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে। পাঁচ জন মানুষের বার্ষিক বর্জ্য থেকে এক ট্যাংক গ্যাস পাওয়া সম্ভব। একজন মানুষের বার্ষিক উচ্ছিষ্ট খাদ্য ও বর্জ্য থেকে বাসটি ৬০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য বায়োগ্যাস পাবে।
এর ইঞ্জিন ডিজেলচালিত সাধারণ বাসের মতোই। স্বস্তির বিষয়, এই বাসগুলি ডিজেলচালিত বাসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ করবে। -ইন্ডিয়াটাইমস