এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সোনার শরীর, বিশ্বাস করার মত নয়। সৃষ্টিজগতে এমন কেউ নেই এটাই জানি। তবে এমনি আদলে এক কনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।
অবশ্য বাবা পেশায় মিষ্টি এবং কনফেকশনারির খাবার প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা। বিয়ের দিনটা নিজের মেয়েটাকে সোনায় মুড়িয়ে দেয়ার স্বপ্ন ছিল তার।
সত্যিই স্বণালঙ্কারে ঢাকা পড়েছিলেন নববধূ। বিয়েতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার পরেন ওই নববধূ। পিতাও মেয়ের বিয়ের দিন চোখ-ধাঁধানো স্বর্ণালঙ্কার পরেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যর তিরুপতি শহরে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন মেইল।
বিয়েটা নিরাপদে সুসম্পন্ন করতে স্থানীয় থানা থেকে পুলিশও পাঠানো হয়। ব্যান্ড আর বাদ্যের তালে তালে দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল দিয়ে যখন কনেপক্ষ কমিউনিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে তখন হয়তো ডাকাতির কবলে পড়ার ঝুঁকি ছিল বৈকি!
অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার পথে সে আশঙ্কাও ছিল। গায়ে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ বলে কথা।
এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে পিতা ও ও কন্যার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কনের দিক থেকে আক্ষরিক অর্থেই চোখ ফেরাতে পারছিলেন না কেউ। কনের পিতা সারা জীবনের সংগৃহীত স্বর্ণের চেন থেকে শুরু করে চোখ-ধাঁধানো স্বর্ণে মোড়ানো অলঙ্কারে সাজিয়েছিলেন মেয়েকে।
পুলিশের মুখপাত্র সন্দীপ কুমার বলছিলেন, কনের পিতা ও কনে বিয়ের অনুষ্ঠানের পুরো সময়ই স্বর্ণালঙ্কারগুলো পরেছিলেন। এতো বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পরা অপরাধ নয়। কিন্তু মানুষ জানার পরই অপরাধ ঘটতে পারতো। আমরা আগেভাগেই সতর্ক ছিলাম যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
এদিকে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত একটি ছবি যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে ঠিক তখনই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে।
অনেকেই বলছেন, কাজটা একেবারেই নির্বোধের মতো। কারণ যে দেশে কোটি কোটি পরিবার প্রতিদিন দু’বেলা দু’ মুঠো খাবার জোগাতে হিমশিম খায়, সেই দেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ড।
ভারতের ধনাঢ্য পরিবারগুলোর সদস্যরা সাধারণত বিয়ের অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে স্বর্ণ পরে থাকেন। এর আগে কয়েকজন বিত্তশালী ভারতী স্বর্ণের সুতায় তৈরি শার্ট পরে শিরোনাম হয়েছেন।