এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মুঠোফোন এখন সবার হাতে। প্রতি মুহূর্তেই এ যন্ত্রটির ব্যবহার আমাদের জীবন-যাপনের একটি অংশ হয়ে গেছে। ঘর থেকে বের হতে আপনাকে দুটো জিনিস সঙ্গে নিতেই হয়। মুঠোফোন আর ম্যানিব্যাগ। যে যন্ত্র আমাদের প্রতিদিনকার জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে, তার কিন্তু ক্ষতিও রয়েছে।
মুঠোফোনে টেক্সট করতে গিয়ে কিংবা মাথা ঝুঁকিয়ে মুঠোফোনের দিকে চোখ দিতে গিয়ে অজান্তেই বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হচ্ছেন আপনি। মাথা এভাবে ঝুঁকিয়ে রাখতে গিয়ে প্রচ- চাপ পড়ছে আপনার ঘাড় ও পিঠের ওপরে, যার ফলে হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি।
টেক্সট পড়ার জন্য যখন সামনের দিকে ৬০ ডিগ্রি ঝুঁকিয়ে ফেলছেন মাথা, তখন ৬০ পাউন্ড চাপ পড়ছে আপনার ঘাড়ের ওপর। নিউ ইয়র্কের স্পাইন সার্জন কেনেথ হান্সরাজের গবেষণা সেটাই বলছে। মাথা যত বেশি ঝুঁকিয়ে ফেলছেন তত বেশি বেড়ে যাচ্ছে এ চাপের মাত্রা।
কম্পিউটারের সাহায্যে একটি মডেল তৈরি করেন হান্সরাজ সেখানে ওই মডেলের মাথা বিভিন্ন কোণে বাঁকানোর ফলে ঘাড়ের ওপর পড়া চাপের পরিমাণ নির্ণয় করেন। এভাবে তিনি সেই মডেলের মাথা ০ ডিগ্রি, ১৫ ডিগ্রি, ৩০ ডিগ্রি, ৪৫ ডিগ্রি এবং ৯০ ডিগ্রি বাঁকিয়ে চাপ নির্ণয় করেন।
এতে দেখা যায়, মাথা এভাবে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে রাখার ফলে অনেক চাপ পড়ে ঘাড় ও পিঠের ওপরে। মাথা শুধুমাত্র সামনের দিকে বাঁকানোর ফলে কি হতে পারে তা এই গবেষণায় দেখানো হয়েছে। মাথা পাশে বা পিছনের দিকে বাঁকালে দেখা যেতে পারে অন্যরকম ফলাফল।
এ ক্ষতি এড়ানোর জন্য কি করা যেতে পারে? ফোন ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন? তা নয়। আপনি নিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন অবশ্যই। কিন্তু এ সময়ে মাথা কোন অবস্থানে রাখছেন তার প্রতি মনযোগী হওয়াটা জরুরি। হান্সরাজের মতে, মাথা সোজা রেখে স্মার্টফোন ব্যবহার করাটা হতে পারে সবচাইতে নিরাপদ।
স্মার্টফোন ব্যবহারের পাশাপাশি মেরুদণ্ডের ক্ষতি করতে পারে এমন আরেকটি ব্যাপার নিয়ে কথা বলেন হান্সরাজ, আর তা হলো, সারাদিন টেবিলে বসে কাজ করা। অফিসে সারাদিন বসে থেকে কাজ করেন যারা, তাদেরও মেরুদণ্ড এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাদের জন্য উপদেশ হলো স্ট্রেচ করা, মাঝে মাঝে হাঁটাচলা করা এবং এমনভাবে মনিটর স্থাপন করা যাতে এর দিকে সোজাসুজি তাকিয়ে কাজ করা যায়।