এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : একজন টিভি ভাষ্যকার। তার প্রশ্নোত্তর পর্বটাই সবচেয়ে আকর্শণীয়।
এক:
একবার প্রশ্নোত্তর পর্বে একটা ফোন এল। অপরপ্রান্তে এক মহিলা কথা বলছিলো:
-হ্যালো, শায়খ! আমার জন্য দু‘আ করবেন।
-কি জন্য?
-আল্লাহ তা‘আলা যেন আমাকে শায়খ আ’র বউ হওয়ার তাওফীক দান করেন।
-বোন, আপনি পরিষ্কার করে বলুন তো, আপনি শায়খ আ’কে কী জন্য স্বামী হিসেবে কামনা করছেন? তার সৌন্দর্যের জন্য নাকি ইলমের জন্য।
মহিলা উত্তর দিলো:
-তার ইলমের জন্য।
-তাহলে তো শায়খ সা, শায়খ আ’র চেয়েও বেশি ইলমের অধিকারী। আমি দু‘আ করছি আল্লাহ তা‘আলা শায়খ সা’ কে আপনার স্বামী বানিয়ে দিন।
(উল্লেখ্য শায়খ আ’ খুবই সুন্দর চেহারার অধিকারী আর শায়খ সা’ ইলমে আমলে হলেও।
দুই:
একটা ফোন এল।
-শায়খ! আমি কি মোবাইল নিয়ে বাথরুমে যেতে পারবো?
-কেন বাপু, মোবাইল আবার কী দোষ করল?
-মোবাইলের মেমোরিতে যে কুরআন শরীফ আছে?
-কোনও সমস্যা নেই। আপনি যত ইচ্ছা মোবাইল নিয়ে বাথরুমে যাবেন।
-কিন্তু শায়খ মোবাইলে কুরআন শরীফ আছে যে!
-কোনও সমস্যা নেই, সেটা মেমোরি কার্ডের মধ্যে আছে।
-শায়খ!
-আবার কী হলো?
-তাহলে আপনি বলছেন কুরআন শরীফ নিয়েই বাথরুমে যাবো?
-কী সমস্যায় পড়লাম রে বাবা! আপনার কুরআন শরীফের কোনও অংশ ইয়াদ আছে?
-জ্বি। আমার প্রায় পুরো কুরআন শরীফই মুখস্থ।
-তাহলে এক কাজ করুন। বাথরুমের যাওয়ার আগে, আপনার মাথাটা ভেঙে মগজটুকু ফ্রিজে রেখে যাবেন।
তিন:
মোবাইলে প্রশ্ন এলো:
– আমি কি পেঙ্গুইনের গোশত খেতে পারবো?
-আপনি পেঙ্গুইন পেলেন কোথায়? সেটা তো এন্টার্কটিকায় পাওয়া যায়?
-না বলছিলাম কি, যদি কখনো পাই আর কি?
-কোনও সমস্যা নেই, আপনি পেঙ্গুইন পেলে, একাই পুরোটা খেয়ে ফেলবেন।
চার:
আমি আরেকটা বিয়ে করতে চাই।
-কেন? আপনার আগের বিবির কী হয়েছে? তার কি কোনও দিক দিয়ে সমস্যা আছে?
-জি না।
-তাহলে?
-আমার অনেক দিনের ইচ্ছা, একজন অসহায় মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিবো।
-আপনি বরং এক কাজ করুন। প্রথম স্ত্রীকে কষ্ট না দিয়ে, একজন বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন একজন গরীব যুবককে বিয়ের খরচটা দিয়ে দিন। তাহলে দুইটা সওয়াব পেয়ে যাবেন।
এক: একজন অসহায় যুকবকে বিয়ে করানোর সওয়াব।
দুই: একজন অসহায় মেয়ের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করার সওয়াব।
পাঁচ:
-আমি যদি একটা বনে নামাযে দাঁড়াই। এমতাবস্থায় যদি একটা সিংহকে আমার দিকে আসতে দেখি, তখন কি আমার জন্য (আত্মরক্ষার্থে) নামায ছেড়ে দেয়া জায়েয হবে? নাকি নামায পুরো করবো?
-এরপরও যদি আপনার ওযু থাকে, তাহলে নামায পুরো করবে।
বাংলা ব্লগ ও ফেইসবুকে জনপ্রিয় হওয়ার আগে ‘কস কি রে মমিন’ শব্দগুলো প্রথম উচ্চারিত হয়েছিলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘নিখোঁজ সংবাদ’ নাটকে। সংলাপটি বলেছিলেন অভিনেতা সোহেল খান। এই সেই ইতিহাসের প্রথম ‘কস কি রে মমিন’! কেটে আপলোড দিলাম ইউটিউবে।-আমাদেরসময়.কম