বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:২০:০৭

অভিশপ্ত ঘড়ি, ডেকে আনছে মৃত্যু!

অভিশপ্ত ঘড়ি, ডেকে আনছে মৃত্যু!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: মরণ-বাঁচন সবই 'তার' হাতে! কথাটি অক্ষরে অক্ষরে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু এখন যাকে আপনারা ভাবছেন, সেই 'তিনি' এখানে একটি অভিশপ্ত ঘড়ি!

ঠিকই পড়েছেন। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বললে ভুল হবে না। ফিরে এসেছে রহস্যে মোড়া অভিশপ্ত সোনার ঘড়ি। যার মূল্য ১৮২ কোটি টাকা। এই ঘড়িই ডেকে আনছে মৃত্যু।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনই ঘড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কাতারে৷ ঘড়িটির নাম 'দ্য প্যাটিক'। তবে ঘটনার সূত্র ধরে ঘড়িটির নাম হয়ে গিয়েছে 'দ্য গ্রেভস' বা কবরের ঘড়ি৷

ব্রিটেনের 'মিরর' সূত্রে খবর, ঘড়িটি সম্পর্কে জনশ্রুতি রয়েছে, এই ঘড়িটি তার মালিকের জীবনে মৃত্যু ডেকে আনে৷ ১৯২৫ সালে এই ঘড়িটি তৈরি করেন প্যাটিক ফিলিপ৷ ঘড়িটিতে রয়েছে ক্যালেন্ডার, পূর্ণিমা ও অমাবস্যার হিসেব রাখার বিশেষ যন্ত্র এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা৷ এছাড়া ঘড়িটিতে রয়েছে আরও ২৪টি অত্যাধুনিক ফিচার যা একমাত্র বহুমূল্যের ঘড়িতে দেখা যায়। ঘড়িটির কাঁটা থেকে শুরু করে সব যন্ত্রপাতিই নিরেট সোনার৷

অভিশপ্ত এই ঘড়িটির ইতিহাস বলছে, এর প্রথম মালিক ছিলেন হেনরি গ্রেভস৷ ঘড়িটি কেনার কয়েকমাসের মাথায় তিনি মারা যান৷ এরপর ঘড়িটি আসে তার এক বন্ধুর কাছে। তিনিও কয়েক মাসের মধ্যে মর্মান্তিক এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান৷ এরপর ওই বন্ধুর ছেলের হাতে আসে ওই ঘড়িটি৷ ঘড়িটি পেয়ে তিনিও অত্যন্ত আন্দনিত হন৷ কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন বজায় থাকেনি৷ ঘড়িটি পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে তিনিও আশ্চর্যজনক ভাবে মারা যান৷

এরপর কেটে গিয়েছে বহু বছর৷ পরিবর্তনের যুগে এই ঘড়িটির ভয়াবহতা প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিলেন সকলে৷ কিন্তু সম্প্রতি ঘড়িটি কেনেন কাতার রাজ পরিবারের এক বিশিষ্ট ব্যক্তি বিন মহম্মদ আলথানি৷ দেশে তিনি একজন আর্টের সমঝদার ও গুণগ্রাহক বলেই পরিচিত৷ লোভনীয় এই ঘড়িটি কেনা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন নি তিনি৷ ঝোঁকের বশবর্তী হয়ে কিনে বসেন ঘড়িটি৷

ইন্টারনেটের ফাস্ট লাইফে ঘড়িটির ভয়াবহতার কথা সবাই ভুলে গিয়েছিল। কিন্তু ঘড়িটি মোটেই নিজের ইতিহাস ভোলেনি৷ সেটির প্রমাণও মিলল হাতেনাতে৷ ঘড়িটি কেনার মাত্র কয়েকদিন পরেই মারা গেলেন বিন মহম্মদ আলথানি৷ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে আবার একবার 'দ্য গ্রেভস-'এর মালিকের স্থান হল সেই গ্রেভ-এই অর্থাৎ কবরের নিরেট অন্ধকারে৷

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে