শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৪২:১৩

আপনি কি জানেন, না ঘুমালে কি হয়?

আপনি কি জানেন, না ঘুমালে কি হয়?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আজ বিশ্ব ঘুম দিবস।  সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম যে কতটা জরুরি, সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুক্রবার ঘুম দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।  চরম ব্যস্ততার যুগে ঘুম মাথায় উঠেছে বর্তমান প্রজন্মের, যার থেকে বাসা বাঁধছে নানা রোগ।  সুস্থতার সঙ্গে ঠিক কী সম্পর্ক রয়েছে ঘুমের, আসুন জেনে নিই-

১. শুধু চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল মুছতে বা মন ভালো রাখতেই যে ঘুমের প্রয়োজন তা নয়।  পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ রাখে আপনার হৃত্‍‌পিণ্ড, নিয়ন্ত্রণে রাখে ওজন।

২. ঘুমালে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়বে।  ডাক্তাররাই বলছেন, ভালো করে ঘুমান, আপনার ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।

৩. অতিরিক্ত অথবা খুব কম ঘুমালে তার প্রভাব পড়বে আপনার আয়ুষ্কালের উপর।  ২০১০-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০-৭৯ বছর বয়সে মৃত মহিলাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে কম বা বেশি ঘুমানোর জন্য। তাই ডাক্তারদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত ঘুমান, ভালোভাবে বাঁচুন।

৪. হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিজ, অকাল বার্ধক্যের থেকে শরীরে জ্বালা অনুভূতি হয়।  গবেষণা বলছে, যারা রাতে ৬ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমান তারাই বেশির ভাগ এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন।  কারণ তাদের রক্তে ইনফ্লামেটরি প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।  ২০১০-এর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কম ঘুমান, তাদের শরীরে বেশি পরিমাণে দেখা দেয় সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন, যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

৫. ঘুমালে বাড়বে সৃজনশীলতা।  হার্ভার্ড ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ঘুমানোর সময় স্মৃতি ও নানা কাল্পনিক বিষয় মাথায় ঘোরাফেরা করে।  এজন্য ভালো ঘুম হলে তা সৃষ্টির কাজে বিশেষ সহায়ক হয়।  বিশেষত ছবি আঁকার ক্ষেত্রে এটা বিশেষ প্রযোজ্য।

৬. আপনি যদি কোনো খেলোয়াড় হন, তবে আপনার সাফল্যের অন্যতম অস্ত্র নিঃসন্দেহে ঘুম।  স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, কলেজের ফুটবল খেলোয়াড়রা, যারা রাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমান, ৬-৮ সপ্তাহ পর তাদের স্ট্যামিনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।  দূরে চলে যায় যাবতীয় ক্লান্তি।

৭. গবেষণা বলছে, কলেজে যেসব ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় খুব ভালো ফল করেন, তারা অন্যদের থেকে বেশি ঘুমান।  যারা কম ঘুমান, তাদের ফলাফল হয় খারাপের দিকে।

৮. ঘুম কম হলে শিশুরা অমনোযোগী হয়ে পড়ে।  ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৭-৮ বছরের শিশুরা রাতে ৮ ঘণ্টার কম ঘুমালে বদরাগী ও অমনোযোগী হয়ে পড়ে।

৯. পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে স্বাস্থ্যকর ওজন পান।  আপনি যদি সুস্বাস্থের জন্য ডায়েট চার্ট মেন্টেন করেন, তবে ঘুমানোর ব্যাপারটিও মাথায় রাখুন।  গবেষণা বলছে, ডায়েটের পাশাপাশি যারা যথোপযুক্ত ঘুমান তাদের ওজন অন্যদের থেকে ৫৬% বেশি কমে।

১০. স্ট্রেস কমাতে বিশেষ সহযোগী ঘুম।  রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ঘুমের জুড়ি মেলা ভার।  
১১. ঘুম ভালো হলে দুর্ঘটনার প্রবণতাও কমে। ২০০৯সালের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্র্যাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রিপোর্ট বলছে, পানীয় পান অবস্থায় গাড়ি চালানোর থেকেও মারাত্মক দুর্ঘটনা বেশি হয় ক্লান্ত থাকার জন্য। এক রাত না ঘুমালেই গাড়ি চালানোর সময় আপনার মনে হবে, পানীয় পান করেছেন।

১২. পর্যাপ্ত ঘুমালে হতাশা কমে।  ঘুমে ঘাটতি থেকে আসে হতাশা ও উদ্বেগ।

কাজেই ভালো থাকতে চাইলে ভালো ঘুমান।  সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
১৮ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে