এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জ্যাকেট পরে, ঘরে ঘুমোয়, বাইকে চড়ে, রেস্তরাঁয় যায় আবার মাঝেমধ্যে চেয়ারে বসে ল্যাপটপেও চোখ বোলায়। এর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই তো! কিন্তু, এটাই যদি ৬ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি কুমির করে? এমন অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন ফ্লোরিডার লেকল্যান্ডের বাসিন্দা ম্যারি থর্ন। কুকুর বা বিড়াল নয়, একটি কুমিরকেই পোষ্য বানিয়েছেন তিনি।
এই পোষ্য কুমিরটির নাম রাখা হয়েছে র্যাম্বো। বয়স এখন ১৫ বছর। পানির জীবন ছেড়ে শুধু ডাঙায় নয়, একেবারে হয়ে উঠেছে ম্যারি থর্নের পরিবারের একজন সদস্য। থর্নের চোখে র্যাম্বো এখন আর কুমির নয়, মানুষেরই মতোই স্বাভাবিক তার সব ধরণের কাজকর্ম।
তার এই পোষ্যকে সঙ্গে রাখতে সাহায্য করার জন্য বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। কারণ, কয়েকদিন আগে থর্নকে কুমিরটির জন্য নতুন বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে বলেছে ফ্লোরিডা ওয়াইল্ডলাইফ কমিশন। এই ছোটো কুমিরটিরই দৈর্ঘ্য একসময় ১১ ফিট পর্যন্ত হতে পারে। অস্বাভাবিক হারে বাড়তে পারে ওজন।
কিন্তু, র্যাম্বোকে একটা মুহূর্তের জন্যই দুরে রাখতে চান না থর্ন। তবে তার কাছে আরো তিনটি কুমির ছিল। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে এর মধ্যে তিনটিরই মৃত্যু হয়। একমাত্র বেঁচে যায় র্যাম্বো।
তারপর থেকেই পরিবারের এক সদস্য হিসেবেই তাকে বড় করে তুলছেন থর্ন। প্রশিক্ষণও দিয়েছেন সেইমতোই। ফলে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে বিরক্ত না করে নিজের মতোই থাকে র্যাম্বো। শিশুদেরও সে যথেষ্ট ভালোবাসে বলে জানিয়েছেন থর্ন।-ইআই
১৮ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই