যেসব কারণে আপনার মূল্যবান প্রেমটি ভেঙে যেতে পারে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : Love at first sight! Loving the way you are! There is thousands reasons to love you! যারা প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে তাদের মুখে এই কথাগুলো ফুলঝুরির মত ফোটে, তবে সেটা একেবারে প্রেমের শুরুর দিকটায়। মনের মিলও থাকে অনেক বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে প্রেমও বিপরীত মেরুতে আকর্ষণ হয়ে থাকে। প্রেম তো আসলে একটা অনুভব, আবেগ আর কিছু স্বতস্ফুর্ততা। মনে মন মিলতে আদপে কোনো নির্দিষ্ট কারণ প্রয়োজন হয় বলে প্রেমিকরা অন্তত মনে করেন না। তবে প্রেম গড়ার পর তা যেন ভেঙে না যায় তার প্রতি সহানুভূতিশীল ও যত্নবান হন 'আদর্শ প্রেমিকেরা'। প্রেম যেমন হয়, তেমন ভাঙেও, এটা স্বাভাবিক নিয়ম। তেব এই বিষয়টি আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার প্রেম এই মুহূর্তে 'পালাই' 'পালাই' করছে-

কথপোকথনে ছন্দপতন : ঝগড়া নয়। মানুষ ঝগড়া তাদের সঙ্গেই করেন যারা তাদের জীবনে গুরুত্বপান এবং একটা অর্জিত অধিকার থেকে মতের অমিল হয়ে থাকে। আর এবিষয়টির এক পর্যায়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। কথপোকথনে ছন্দপতন মানে আংশিক অর্থে এড়িয়ে যাওয়া। মতের অমিল হতেই পারে, কিন্তু তা গুরুত্ব হারালে, বুঝতে হবে 'প্রেমে কুছ কালা হ্যায়'।

গভীর অনুভবে 'ছানি' : দূরত্ব, সান্নিধ্য তা কখনো শারীরিক হলে, পরিস্থিতিগত হলে সময় দিলে তা কেটে যায়। কিন্তু মানসিকভাবে দূরত্ব মেটানো কঠিন কাজ। আপনি আপনার প্রেমিক/প্রেমিকার জন্য গভীর অনুভব না পেলে এই কাজ কখনোই সম্ভব নয়। সম্পর্কের রোম্যান্সের প্রতি স্পার্কে প্রেমে থাকুন, অনুভব বাড়বেই।

ছোট ছোট বিষয়েও মতের অমিল : সিনেমা দেখতে গিয়ে ব্যালকনিতে বসবেন না বক্সে বসবেন, বিষয়টা এই মতের অমিল নয়। অমিল অর্থে ছোট্ট ছোট্ট কথায় মত না মিলতে মিলতে সেটা একটা সময় বৃহত্‍ অমিল তৈরি করে দেয়।

চুপ থাকা : কথা না বলে থাকা যেমন কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, ঠিক উল্টোটাও হতে পারে। যেসময় কথা বলতে চাইছেন, কথা বলার দরকার অনুভব করছেন সেই সময় মুখে কুলুপ আঁটা মানে সম্পর্কেও কুলুপ।

প্রতি ক্ষেত্রে 'ছোট করা' : মানসিকভাবে আঘাত ও মানুষ হিসেবে 'ছোট' করা, প্রেম ভাঙার লক্ষণ। একজন আদর্শ প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনার স্বপ্নে সঠিক ও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবেন, যা আপনার জীবনের অগ্রগতির বাহক। খারাপ সময়েও পাশে দাঁড়াবে এবং তার জন্য 'ক্রেডিট' চাইবে না।

একসঙ্গে থেকেও মনে হবে একা : দুজনে হাতে হাত, এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো বলোনা?... এমন ভাবনা হামেশাই হয়ে থাকে, অথচ তবুও মনে হচ্ছে একা একা, তাহলেই প্রেমের গাড়ির ব্রেক ডাউন হয়ে পড়েছে। প্রেমের পথ সেখানেই শেষ বা শেষের শুরু।

শারীরিক নির্যাতন : যে প্রেমিক বা প্রেমিকা শারীরিক নির্যাতন করেন তিনি প্রেমে ১০০% হলে আপনাকে দুঃখ দিতে ১০০০% হতেও পিছুপা হবেন না। প্রেমে বন্ধুত্ব একটা আত্মিক যোগ ঘটায়, সেখানে গালমন্দ স্বাভাবিক, কিন্তু যে কথায় মনকে আঘাত করা যায়, এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন বার বার হলে, এটা মেনে নেয়াই ভাল মনের কষ্ট দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, তাই প্রেম থাকুক বাই বাই প্রেমিক/প্রেমিকা।

আপনার পরিবার অথবা বন্ধুরা যে সম্পর্ক মেনে না নেয় সেই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে টেকেনা। তারপরও যদি নিজের মন থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে যেতে চান, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো ফলাফলের সংখ্যাটা খুবই নগন্য। আপনি মানুষ ব্যতিক্রম হতে পারেন, কিন্তু এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হওয়া সম্পর্কে আশঙ্কা তৈরি করে।
১৮ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই