এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : চাকরির বাজার এখন আকাশে ওঠার মতো একটা ব্যাপার। প্রার্থীর সবদিকের খুঁটিনাটি বিবেচনায় আনা হচ্ছে। কাজেই ইন্টারভিউয়ে যাই করুন না কেন, বিশেষজ্ঞরা ৭টি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন যা কখনোই করা উচিত নয়। এখানে তা জেনে নিন।
১. দেরি নয় : ইন্টারভিউয়ের নির্দিষ্ট সময়ের আগে উপস্থিত হবেন। কখনোই দেরি করবেন না। সময়জ্ঞানের বিষয়টি দেখবেন চাকরিদাতারা। তাই যে উপায়েই হোক, সঠিক সময়ে উপস্থিত হোন। যত কঠিন কারণই দেখান না কেন, এর বিপরীতে নেতিবাচক জবাবই আসবে।
২. অপ্রস্তুত অবস্থায় উপস্থিত হবেন না : খুব সাধারণ মনে হলেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বহু প্রার্থীই ইন্টারভিউয়ে একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় আসেন। যেখানে এসেছেন সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ছোটখাটো তথ্য জানতে হবে। কোন পদের প্রার্থী হয়েছেন, তার দায়িত্ব সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি পাবলিক নাকি প্রাইভেট তা ভুলেও প্রশ্ন করে জানতে যাবেন না।
৩. বেতন-ভাতা ও সুবিধা জানতে চাইবেন না : প্রতিষ্ঠানে আপনার প্রাথমিক ইন্টারভিউটি আসলে আপনাকে যাচাই করে। এখানে আপনার বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে জানার সঠিক স্থান নয়। এখানে আপনি এমন এক পণ্য যা এই প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করতে এসেছেন। আপনাকে ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানটি চলবে না, তা বোঝানোর স্থান এটি নয়।
৪. চাকরি না পেতেই ভবিষ্যৎ জানতে চাওয়া নয় : আগে চাকরিটি পাবেন, তারপর নির্ধারণ করা হবে আপনার ভবিষ্যৎ ভূমিকা কী হতে পারে। ইন্টারভিউয়ে বসে যদি কীভাবে সিইও হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন, তবে হিতে বিপরীত হবে।
৫. দুর্বলতা বিষয়ক প্রশ্নকে ইতিবাচক করবেন না : আপনার দুর্বলতা জানার জন্য একটা প্রশ্ন আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে সত্যিকার দুর্বলতা তুলে ধরুন। কিন্তু এ প্রশ্নকে শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক করে তুলে ধরার প্রয়াস আপনার সব সম্ভাবনাকে ভেস্তে দেবে। আবার নিজের বিষয়ে এমন কোনো দুর্বলতা তুলে ধরা উচিত নয় যা আপনাকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করে।
৬. মিথ্যে কথা নয় : অনেকেই তথ্য লুকিয়ে মিথ্যে বলেন। বিশেষ করে অন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত হলে বা অন্য কোনো সমস্যা লুকিয়ে রাখা উচিত নয়। শেষ পর্যন্ত আপনার সত্য গোপন থাকবে না। ইন্টারভিউয়ে মিথ্যে বলে কোনোরকম পার পেয়ে গেলেও পরে কিন্তু আপনার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। কাজেই কোনোভাবেই ইন্টারভিউয়ে খারাপ তথ্য তুলে ধরবেন না।
৭. চাকরি না পাওয়ার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নয় : ইন্টারভিউয়ে আপনি টিকে গেলেন নাকি বাদ হয়ে গেলেন তা বুঝতে পারবেন না। কিন্তু কোন কারণে বাদ হলেন তা জানার জন্য কোনো প্রশ্ন করবেন না। এতে করে চাকরির সম্ভাবনা থাকলেও তা নষ্ট হয়ে যাবে।