এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবী সুন্দর। সুন্দর এই জীবন। কিন্তু প্রতিদিন নানা রকম ভেজাল খাবার খেয়ে আমরা এই জীবনের আয়ু কমিয়ে ফেলছি। খাবার তালিকা নির্বাচনের মাধ্যমে কিন্তু জীবনের আয়ু বাড়ানো যায়। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে কানাডীয় পুষ্টিবিদ ও ফিজিকল এডুকেশনের ডা. কেভিন জে মিকলফলিন দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে এমন ৫টি পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জানান :
খাবারের তালিকায় মাছ রাখুন বেশি : বেশি পরিমাণে মাছ খেলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের কারণে মত্যুর ঝুঁকি কমে। মাছ ওজন কমাতেও সাহায্য করে। যে সব অঞ্চলের মানুষের প্রধান খাদ্য মাছ তাদের রক্তে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
পাশাপাশি মাছের চর্বিতে আছে পলিআনস্যাচারেইটেড তেল যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমায়। যারা অধিক পরিমাণে তৈলাক্ত মাছ খান তাদের মৃত্যুও হার অনেক কম। এ ধরণের মাছ সপ্তাহে দুই থেকে তিন সার্ভিং খাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. কেভিন।
সকালের নাস্তায় ওটমিল : ওটমিলে আছে এক ধরনের দ্রবণীয় আঁশ যা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি ক্ষুধা কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। দেহে ইনসুলিন ব্যবহার উন্নতি করাসহ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
যারা সকালের নাস্তায় ওটমিল খাওয়ার অভ্যেস করবেন তারা অন্যদের তুলনায় দীর্ঘদিন বাঁচবেন। প্রতিদিন আধকাপ ওটমিল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি। চাইলে বাদামের সঙ্গে মিশিয়ে ওটমিল খাওয়া যায়।
গাঢ় রংয়ের সবজি : কাঁচা, আধা সিদ্ধ বা গ্রিল্ড বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায়। সবজিতে আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রাসায়নিক পদার্থ, যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, রক্তনালীর রোগ ও কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গাঢ় রংয়ের সবজি হিসেবে বাঁধাকপি, লাল-মরিচ, ব্রোকলি, লাল-বাঁধাকপি এবং বিভিন্ন শাক খাওয়া যেতে পারে। যারা বেশি সবজি খান তারা অন্যদের তুলনায় সুস্থ থাকেন। আর সুস্থ থাকা মানেই দীর্ঘজীবন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুই থেকে তিন সার্ভিং সবজি রাখা উচিত।