বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:৩৬:৩০

হাতি তাড়াতে বাঘ কিনলেন কৃষক

হাতি তাড়াতে বাঘ কিনলেন কৃষক

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : হাতির পালের তাণ্ডব ঠেকাতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের শরণাপন্ন হয়েছেন তামিলনাডুর কৃষিজীবীরা। তবে জ্যান্ত নয়, আপাতত খেলনা বাঘেই আস্থা রাখছেন তারা।

বুনো হাতির পালের দাপটে অস্থির হোসুর শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের সানামাভু সংরক্ষিত অরণ্য লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। প্রতি বছর খেতের ফসল পাকলেই গভীর জঙ্গল থেকে হানা দিয়ে তা নিঃশেষ করে দেয় হাতির দল।

২০১৩ সালেও কর্নাটকের বানেরঘাট্টা অভয়ারণ্য থেকে এমনই এক বিশাল হস্তিযূথ সানামাভু জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে। ওই অরণ্য সংলগ্ন সুলাগিরি, আনচেট্টি, ডেনকানিকোট্টাই, উদেদুর্গম ও উথানাপল্লির গ্রামের শস্য ও সব্জি খেতে তাণ্ডব চালায় তারা। এতে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় স্থানীয় চাষিদের।

বন বিভাগের উপর হাতি খেদানোর দায়িত্ব দিয়ে বীতশ্রদ্ধ গ্রামবাসী। এ বছর তাই হাতি রুখতে নয়া ফন্দি বের করেছে স্থানীয় কৃষি সংগঠন। ফসল ভরা খেতের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ডোরাকাটা বাঘেদের উপর।

বিজরেপল্লি গ্রামের বাসিন্দা মুনিরাজাপ্পা জানিয়েছেন, এতকাল হাতি এলে আমরা আগুন জ্বালতাম, পটকা ফোটাতাম। এক বনকর্মীর মুখে হাতি আর বাঘের শত্রুতার কথা শুনে হঠাৎ বুদ্ধি খুলে গেল। পরদিনই ছুটলাম বেঙ্গালুরু শহরের খেলনার দোকানে। নগদ ৩ হাজার টাকা দিয়ে চার-চারটে প্রমাণ মাপের কৃত্রিম বাঘ কিনে আনলাম। আমার দেখাদেখি প্রতিবেশীরা অনেকেই বেঙ্গালুরু গিয়ে এমন খেলনা বাঘ কিনে এনেছেন।

কৃত্রিম বাঘদের ফসলভরা খেতের মাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন চাষিরা। সঙ্গে ব্যবস্থা করা হয়েছে সাউন্ড বক্সের, যার সাহায্যে বাঘের গর্জনও শোনা যাবে। বাসিন্দাদের আশা, এভাবে নকল বাঘ দেখিয়ে হাতির পালকে ভয় পাওয়ানো সম্ভব হবে।

তাই সূর্য ডুবলে প্রতিদিন মাচার উপর হাজিরা দিতে হচ্ছে গ্রামের পুরুষদের। হাতি তাড়ানোর নয়া কৌশল আদৌ কাজে দেয় কিনা, সেটা অবশ্য এখনও প্রমাণ সাপেক্ষ!

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে