‘ভালোবাসি তোমায়’ শুনার পর অঝোরে কাঁদলেন মেয়েটি, কিন্তু কেন?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জীবনে কোনোদিনই শুনতে পারবেন না। আর তাই এই নিয়ে সব ধরণের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন আন্ড্রে। কিন্তু, জীবনে তার প্রেমিক কেভিন আসতেই যেন বদলে গেল চারপাশটা। আন্ড্রে বিশ্বাস করেছিলেন তিনি শোনার ক্ষমতা পাবেন। চেয়েছিলেন, প্রথম শোনাটা যেন ভালোবাসার কথা হয়।

ছোট থেকে কানে শুনতে পেতেন না ব্রিটেনের আন্ড্রে। পুরো নাম আন্ড্রে ডিয়াজ। পরিবারের সকলকেও চেনেন। কিন্তু, তাদের কন্ঠস্বর কেমন, তা কোনোদিন ঠাহর করতে পারেননি। মা-কে দেখেন রোজ, তার গলার স্বর শোনার জন্য আকুল হয়ে উঠতেন আন্ড্রে। কিন্ত, শুনতে পাননি মা-র স্বর।

চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। ‘হিয়ারিং এইড’-এও আন্ড্রের শুনতে না-পাওয়ার সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। ছোট থেকে বড় হয়েছেন তিনি। অনেক কিছুই বুঝতে শিখেছেন। অথচ, তার চারপাশে থাকা মানুষগুলির কন্ঠস্বর কেমন, তা ঠাহর করতে পারতেন না। এরই মধ্যে আন্ড্রের জীবনে আসে তার প্রেমিক কেভিন পিকম্যান। প্রেমিকা আন্ড্রের কানে তার কথা পৌঁছতে দিতে মরিয়া ছিলেন তিনি।

শুরু হয় খোঁজ। কিভাবে ফেরানো যায় আন্ড্রের শোনার ক্ষমতা। কোহলার পদ্ধতীতে একটি ‘ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র’ আন্ড্রের কানের ভিতরে অস্ত্রোপচার করে বসানো হয়। অবশেষে শোনার ক্ষমতা পেলেন আন্ড্রে। আর জীবনের প্রথম শোনা শব্দটা ছিল ‘ভালোবাসি তোমায় আন্ড্রে’। কেভিনের এক কথায় খিলখিলিয়ে উঠেন আন্দ্রিয়া। আনন্দাশ্রু কেমন হতে পারে, তার স্বাদ জীবনে প্রথমবার যেন তিনি পেলেন। মা-র গলাও কানে এল তার। এর পরে চিকিৎসকের সামনে কেভিন যখন আংটি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব রাখলেন, তখন আবেগে প্রেমিককে জড়িয়েই ধরলেন আন্ড্রে। ভালবাসার কথায় কত অসম্ভবই না সম্ভব হয়!-এবেলা
২২ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই