এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : তালাকে দিতে হলো ৮ হাজার কোটি টাকা! বিষয়টি বেমানান মনে হলেও ঘটেছে কিন্তু তাই। কথায় আছে, বড় লোকের বিরাট কারবার। সেই ক্ষেত্রেই এ ধরনের বিরাট কারবার।
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার খনি ব্যবসায়ী হ্যারল্ড হ্যামের ক্ষেত্রে ঘটেছে ঘটনাটি। কন্টিনেন্টাল রিসোর্সেসের প্রধান নির্বাহী হ্যারল্ড ওই কোম্পানির বেশির ভাগ শেয়ারের মালিক।
নর্থ ড্যাকোটায় বিশ্বের বৃহত্তম তেল খনির আবিষ্কারক তিনি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮শ’ কোটি ডলার। ফোর্বসের হিসাবে, তিনি আমেরিকার ২৪তম শীর্ষ ধনী।
এত বড়মাপের ধনী হলে কি হবে- ৮ হাজার কোটি টাকা বণিবনা হচ্ছিল না স্ত্রীর সাথে। স্ত্রীকে তালাকের জন্য দিতে হলো ৮ হাজার কোটি টাকা!।
নয় সপ্তাহ গোপনে বিচার চলার পর ওকলাহোমা শহরের এক বিচারক রায় দিয়েছেন যে, সাবেক স্ত্রী সুই অ্যান হ্যামকে তালাক দেয়ার জন্য তাকে অবশ্যই ১শ’ কোটি ডলার দিতে হবে, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৮ হাজার কোটি।
বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদের মালিক হচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে তার স্ত্রী তালাকের অর্থ পেলে সুই অ্যান আমেরিকার সেরা ধনী নারীর তালিকায় থাকবেন।
রায়ে বলা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকে সাবেক স্ত্রীকে ৩২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে হ্যারল্ডকে। এরপর বাকি অর্থ প্রতিমাসে ৭০ লাখ ডলার করে শোধ করতে হবে। কন্টিনেন্টাল রিসোর্সের ২০ লাখ শেয়ারও (১শ’ কোটি ডলার) সুই অ্যানকে দিতে হবে।
২০১২ সালে মামলা শুরুর পর সুই অ্যানকে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছেন হ্যারল্ড। অবশ্য ১৯৮৮ সালে সুই অ্যান হ্যামকে যখন দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলেন তখন হ্যারল্ড ছিলেন মধ্যবিত্ত আয়ের ব্যক্তি। সূত্র : ডেইলি মেইল