এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রথম নজরে মনে হতে পারে ভিনগ্রহের জীব। মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা অ্যান্টেনা দেখে এমন ধারণা হলেও আসলে এটা খুবই কাজের জিনিস। কারণ রং চিনতে তার সাহায্য নিতে হয় চিত্রকর নিল হার্বিসনকে। জন্মসূত্রে রংকানা শিল্পী এই অ্যান্টেনার সাহায্যেই রঙের ফারাক বুঝতে পারেন।
ছোট থেকে রঙের বাহার বুঝতে অসুবিধা হত হার্বিসনের। একটি রঙের সঙ্গে অন্যটির পার্থক্য তিনি করতে পারতেন না। ২০১০ সালে সাইবর্গ ফাউন্ডেশনের হদিশ পান তিনি। আর এই সংগঠনের সাহায্যেই জীবনের ধারা পাল্টে যায় তাঁর। আসলে প্রযুক্তির সাহায্যে শারীরীক খামতি পূরণ করাই সাইবর্গ ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য।
ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে সমস্যা খুলে বলার পর বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে হার্বিসনের একগুচ্ছ পরীক্ষা হয়। দেখা যায় জন্ম থেকেই রংকে আলাদা করে চেনার ক্ষমতা তাঁর নেই। সমস্যার সমাধানে এক জটিল অস্ত্রোপচার করা হয় শিল্পীর শরীরে। হার্বিসনের মাথার খুলিতে ছেঁদা করে বসিয়ে দেওয়া হয় একটি অ্যান্টেনা। এই অ্যান্টেনা যে কোনও জিনিসের রং চিনে তা এক নির্দিষ্ট সুরে বদলে ফেলতে পারে। সেই সুর শুনে রংটি চিনে ফেলেন শিল্পী।
প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে প্রতিটি রঙের জন্য পৃথক সুর তৈরি করা হয়েছে। এমনকি, অজানা রঙের কথা মাথায় রেখেও সৃষ্টি হয়েছে সুরলহরী। অ্যান্টেনার সাহায্যে সুর পড়ে নিয়ে তাই নিজের আঁকা ছবিতে রং ভরতেও কোনও অসুবিধা হয় না নিল হার্বিসনের।